- ঢাকা
- রবিবার , ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , রাত ০৯:১০
প্রিন্ট ভিউ
পাটগ্রাম প্রতিনিধিঃ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ইতিমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মিছিল, মিটিং ও গণসংযোগে সরগরম হয়ে উঠছে লালমনিরহাট-১ আসনের পাটগ্রাম - হাতীবান্ধা'র রাজনীতি। পুরো এলাকা জুড়েই এখন বিরাজ করছে নির্বাচনী আমেজ। আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবেই পরিচিত এ আসনটিতে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়তে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন রংপুর বিভাগ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসোসিয়েশন এর সভাপতি জনতার নেতা মোঃ রুহুল আমিন বাবুল। তিনি পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের ৩ বারের চেয়ারম্যান অপরদিকে ২০০১ সাল থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এখন পর্যন্ত দায়িত্বে থেকে নানামুখী কার্যক্রমের মাধ্যমে দলকে সুসংগঠিত রেখেছেন। জেলা আওয়ামীলীগে ক্লিন ইমেজের নেতা হিসেবে মোঃ রুহুল আমিন বাবুলের গ্রহণযোগ্যতা সবার শীর্ষে। দলমত নির্বিশেষে সকলের আস্থার প্রতীক হওয়ায় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদও ব্যক্ত করেন তিনি।
ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রলীগের সাথে যুক্ত থেকেই ২০০৯ সালে প্রথম বারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী হয়ে পাটগ্রাম উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। শিক্ষা ও উন্নয়ন কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৫ সালে রংপুর বিভাগের শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং ২০১৯ সালের নির্বাচনে তৃতীয় মেয়াদে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হন। করোনাকালীন সময়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে দলীয় নেতা কর্মী সহ সকল পর্যায়ের মানুষের পাশে থেকে সার্বিক সহযোগিতা করে বেশ প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। এছাড়াও এই অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া মেধাবী শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নিতে শিক্ষা বৃত্তি চালু করে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ক্রিড়া বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করে অপরাধ মুক্ত যুব সমাজ গড়তে কাজ করে যাচ্ছেন।
পাটগ্রাম টিএন স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে আয়োজিত শান্তি সমাবেশ থেকে নির্বাচনী প্রচারণার কাজ শুরু করেন তিনি।তার নেতৃত্বগুণে হাতীবান্ধা - পাটগ্রামের দলীয় নেতা, কর্মী ও সমর্থকগন ঐক্যবদ্ধ। নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে সবাইকে এক হয়ে কাজ করার আহবান জানান তিনি।
তিনি লালমনিরহাটের সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টামণ্ডলীর সাবেক সদস্য মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক প্রয়াত আবেদ আলীর জামাতা।দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কথা হলে তিনি জানান, লালমনিরহাট-১ আসন থেকে মনোনয়ন পেলে নৌকার যোগ্য প্রার্থী হিসেবে এ আসনটি প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দিয়ে এই অঞ্চলের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন নিশ্চিত করে বহুমুখী শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে বেকার সমস্যার সমাধান করে বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও শিক্ষা বান্ধব অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলে বেকারত্ব দূরীকরণ সহ পরিকল্পিত উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে।খোজ নিয়ে জানাযায় সেই লক্ষ্যে নিয়েই তিনি দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগ সহ সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।তবে নৌকা পেলেই জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী তৃনমূলের নেতাকর্মীরাও। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার মাঝি হচ্ছেন তিনি।
