• ঢাকা
  • রবিবার , ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , রাত ০৮:২৪
ব্রেকিং নিউজ
হোম / অন্যান্য

ভূঞাপুরে প্রধান শিক্ষকের অবসরের খুশিতে এলাকায় মিষ্টি বিতরণ

রিপোর্টার : মোহাম্মদ সোহেল
ভূঞাপুরে প্রধান শিক্ষকের  অবসরের খুশিতে এলাকায় মিষ্টি বিতরণ প্রিন্ট ভিউ

মোহাম্মদ সোহেল,ক্রাইম রিপোর্টার (টাঙ্গাইল) 

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে গোবিন্দাসী উচ্চ বিদ্যালয়ের সদ্য বিদায়ী প্রধান শিক্ষক খন্দকার মোহাম্মদ আলীর অবসরের খুশিতে এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করেছে সাধারণ মানুষ।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) তার শেষ কর্ম দিবসে সন্ধ্যায় উপজেলার গোবিন্দাসী বাজারে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।

জানা যায়, পুরাতন এই বিদ্যাপিঠে ২০০৩ সালে খন্দকার মোহাম্মদ আলী তৎকালীন বিএনপি সরকারের শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুর আশির্বাদপুষ্ট হওয়ায় তাকে নিয়োগ দেন। নিয়োগ নেয়ার পর থেকেই খুলে যায় তার ভাগ্যের চাকা। টাকার বিনিময়ে একে একে নিয়োগ দেন প্রায় ৩০ জন শিক্ষক কর্মচারি। হাতিয়ে নেন কোটি  টাকা। গড়ে তোলেন বিশাল সাম্রাজ্য, স্ত্রী সন্তানদের নামে বেনামে বিভিন্ন ব্যাংকে লক্ষ লক্ষ টাকা।

  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে গত বিশ বছরে কোন শ্রেণি কক্ষে পাঠদান করেননি। শিক্ষকদের ভয় ভিতি দেখিয়ে ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। প্রতিবাদ করলেই শিক্ষকদের করেছে নানা রকম হয়রানি। এছাড়াও তিনি মামলাবাজ প্রধান শিক্ষক হিসেবে এলাকায় স্বীকৃত রয়েছে। প্রধান শিক্ষকের চেয়ারকে কাজে লাগিয়ে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে করেছেন নিয়োগ ও এমপিও  বাণিজ্য। তার কুকির্তী ধামাচাপা দিতে প্রতিবছর এলাকার কিছু সংখ্যক রাজনৈতিক ব্যক্তিদেরকে করিয়েছেন ভুরিভোজ, দিয়েছেন উপঢৌকন।  

খন্দকার মোহাম্মদ আলী তার জন্মসাল ০১ জানুয়ারি ১৯৬৪  অনুযাযী  ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ সালে চাকুরির শেষ কর্মদিবস হলেও তিনি বিদ্যালয়ে নানা তরবিরের মাধ্যমে জোর পূর্বক বিদ্যালয়ে থাকার চেষ্টা অব্যহত রেখেছেন। বিভিন্ন ডিও লেটার ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিকে চাপ প্রয়োগ করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রজ্ঞাপনকে বৃদ্ধাগুলি দেখিয়ে ৫ বছর এক্সটেনশন  নেয়ার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। অবেশেষে গত ১১ জানুয়ারি ২০২৪ সালের মাওশি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তার এক্সটেনশন নেয়ার খায়েশ মিটে যায়। ফলে এলাকায় সাধারণ মানুষ ও শিক্ষকদের মধ্যে যে আতঙ্ক বিরাজ করছিল তা কেটে যাওয়ার তার বিদায়ের দিনে গোবিন্দাসী বাজারে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক ব্যক্তি বলেন, আমরা দেখেছি সাবেক প্রয়াত প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাই মিয়া মারা যাওয়ার পর হাজার হাজার মানুষ চোখের  জল ফেলেছে, অথচ খন্দকার মোহাম্মদ আলী বিদায়ের খবর শুনে মানুষ মিষ্টি বিতরণ করে। এটা শিক্ষক সমাজের জন্য লজ্জার। অপর দিকে তার মেয়াদ হয়ে গেলেও সহকারী প্রধান শিক্ষকের কাছে কোনো প্রকার হিসাব নিকাশ বুঝিয়ে না দিয়ে যাওয়ায় সহকারী প্রধান শিক্ষক বিনয় কৃষ্ণ বসাক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নিতে নারাজ। এ নিয়ে সাধারণ শিক্ষদের মাঝে চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। ১৪শ শিক্ষার্থীর এই বিদ্যালয়ে ব্যহত হচ্ছে প্রশাসনিক কার্যক্রম ও পাঠ পরিক্রমা। 

বিদায়ী প্রধান শিক্ষক খন্দকার মোহাম্মদ আলী বলে খুব তাড়াতাড়ি এম পি সাহেবের সাথে কথা বলে হিসাব নিকাশ বুঝিয়ে দেবো।

বিনোদন

সারাদেশ

আরও পড়ুন