• ঢাকা
  • রবিবার , ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , রাত ০২:২৩
ব্রেকিং নিউজ
হোম / অন্যান্য

সোনাতলায় আওয়ামী লীগের নেতা কমরেডসহ হয়রানীর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

রিপোর্টার : নিজস্ব প্রতিবেদক
সোনাতলায় আওয়ামী লীগের নেতা কমরেডসহ হয়রানীর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন প্রিন্ট ভিউ

মামুন,বগুড়া :

সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নবীন আনোয়ার কমরেডসহ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে মিথ্যা অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হয়রানীর প্রতিবাদে বুধবার দুপুরে বগুড়ার সোনাতলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি,বগুড়া আজিজুল হক কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আনোয়ার বাদশা। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন,আমি বগুড়া আজিজুল হক কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি হিসেবে ১৯৬৮-৬৯ সালে পাকিস্তানী শাসক-শোষক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে একজন ছাত্রনেতা হিসেবে আন্দোলন-সংগ্রামের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলাম। আমি ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ডাকে মহান মুক্তিযুদ্ধ ঝাঁপিয়ে পড়ি। মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নে বগুড়া শহরে প্রতিরোধযুদ্ধে আমি আমার দুইবন্ধুর সাথে মিলিত হয়ে নেতৃত্ব প্রদান করি। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বগুড়ার শিববাটিতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান নেয়ায় আমার পরিবারের ৮ জন শহীদ হন। আমি আমার রাজনৈতিক জীবনে ৮ বছর বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করি। আমার বড় সন্তান নবীন আনোয়ার কমরেড বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সোনাতলা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক, সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন শেষে বর্তমানে সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নবীন আনোয়ার কমরেড আমার গ্রামের বাড়ি রানীরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় ওই কেন্দ্র পরিদর্শনে আসা ঈগল পাখির প্রার্থী কে এস এম মোস্তাফিজুর রহমান শ্যামল জিজ্ঞাসা করেন তুই এখানে কেন? একথা বলার পরপরই তিনি নবীন আনোয়ার কমরেডের কলার চেপে ধরে হেনস্তা করেন (যা মোস্তাফিজুর রহমান শ্যামল এর লোকজন দ্বারা ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজে প্রমাণিত)। এ ঘটনায় স্থানীয় জনসাধারণের প্রতিরোধ ও রোষানলে পড়ে মোস্তাফিজুর রহমান শ্যামলসহ তার সঙ্গীরা স্থান ত্যাগ করেন। ঘটনাটির প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনে  অভিযোগে রানীরপাড়ায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।প্রকৃত ঘটনা হলো- মোস্তাফিজুর রহমান শ্যামল আরপিও ১৯৭২ ও নির্বাচনী আচরণবিধি-২০০৮ এর বিধান লঙ্ঘন করে নির্বাচনের পূর্বে কালো টাকা ছড়িয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার হীন চেষ্টা করেছেন। আরপিও ১৯৭২ ও নির্বাচনী আচরণবিধি-২০০৮ এ একজন প্রার্থীর মোট ২৫ লাখ টাকা ব্যয় করার বিধান থাকলেও তিনি প্রতিদিন ৩০/৪০ লাখ টাকার বেশি ব্যয় করেছেন। নির্বাচনের আগে ও তফসিল ঘোষণার পর বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় ভোট চেয়ে, বিজ্ঞাপন দিয়ে বিস্তর অর্থ ব্যয় করে প্রচারণা চালিয়েছেন এবং বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরে ভয়েস কল/ এসএমএস এর মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে ব্যাপক অর্থ ব্যয় করেছেন। এছাড়াও বিভিন্নভাবে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করে বিজয় নিশ্চিত করতে ব্যাপক অর্থ ব্যয় করেছেন। এতকিছুর পরেও নির্বাচনে পরাজিত হয়ে তিনি প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন।তিনি আরও বলেন, মোস্তাফিজুর রহমান শ্যামল তাঁর ভাই মকবুল হোসেন খন্দকারকে মুক্তিযোদ্ধা উল্লেখ করে যে তথ্য পরিবেশন করেছেন তা সর্বৈব মিথ্যা।উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. মিনহাদুজ্জামান লীটন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আব্দুল মালেকসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও আমার পরিবারের পক্ষ থেকে এহেন হয়রানীমূলক কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নবীন আনোয়ার কমরেড এর মা নাজিরা আনোয়ার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. মিনহাদুজ্জামান লীটন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আব্দুল মালেক ও সহ-সভাপতি তাহেরুল ইসলাম।

আইন আদালত

আরও পড়ুন