• ঢাকা
  • শনিবার , ২৭ এপ্রিল ২০২৪ , রাত ১০:১৪
ব্রেকিং নিউজ
হোম / অন্যান্য

সোনাতলায় মাদক সম্রাট মোশারফ হোসেন এর আধিপত্য।

রিপোর্টার : নিজস্ব প্রতিবেদক
সোনাতলায় মাদক সম্রাট মোশারফ হোসেন এর আধিপত্য। প্রিন্ট ভিউ

সোনাতলার মাদক সম্রাট মোশারফ হোসেন একের পর এক বেপরোয়া আধিপত্য বিস্তার করে চলছে। ডজন খানেক উঠতি বয়সি যুবকদের নিয়ে গড়ে তুলেছে হট লাইন মাদক সিন্ডিকেট। থানা এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে মাদক সিন্ডিকেট নিযুক্ত থাকায় হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় মরন নেশা ইয়াবা, ফেনসিডিল, মদ -গাঁজা সহ নেশা জাতীয় দ্রব্য।

সোনাতলা উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়ন এর পাটানপাড়া গ্রামের মৃত মোজাহার আকন্দের ছেলে মোশারফ হোসেন। এলাকায় লোকে বলে মাদক সম্রাট। তাই গ্রামের আতঙ্কের নাম মোশারফ হোসেন। 


গ্রামজুড়ে মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য। অনেকটা প্রকাশ্যে চলছে ইয়াবা, ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য বেচাকেনা। আছে প্রতারকচক্রও। কেউ মুখ খুললে চলে হেনস্তা, মারধর।

দেওয়া হয় হত্যার হুমকি। এমন পরিস্থিতিতে অসহায় সোনাতলা উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়নের পাঠানপাড়া গ্রামের সাধারণ মানুষ। মাদক ব্যবসায়ী ও প্রতারকদের কয়েকজন পুলিশের সোর্স বলে জানিয়েছে গ্রামের বাসিন্দারা।

ভুক্তভোগীরা বলছে, এসব মাদক ব্যবসায়ী গ্রামের যুবসমাজকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন। আর নিজেরা গড়ে তুলছেন অর্থ সম্পদের পাহাড়।

পুলিশ বলছে, এই মাদক ব্যবসায়ী ও প্রতারকদের বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার করা হলেও জামিনে কারাগার থেকে বেরিয়ে আবার একই কাজ করছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পাঠানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিককে বলেন, ‘মাদক ব্যবসায়ীর কাছে সারা গ্রামের মানুষ জিম্মি। তাদের কারণে মান-সম্মানের ভয়ে অন্তত ১০ জন সরকারি কর্মকর্তা ও বেসরকারি চাকরিজীবিরা  গ্রামে যেতে পারছেন না। এর আগে বিভিন্ন সময় তাদের অপকর্মের প্রতিবাদ করে তাঁরা নাজেহাল হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হুমকি পেয়েছেন।’ 

গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, ‘পুরো গ্রামকে গ্রাস করে ফেলেছে মাদক ব্যবসায়ী আর প্রতারকচক্রের সদস্যরা।

প্রতিবাদ করলে হত্যার হুমকি দেয়। আমাদের সঙ্গে এখন অন্য গ্রামের মানুষ বিবাহের সম্পর্ক গড়তে চায় না।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১০-১২ বছর ধরে বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলা ও গাবতলির কিছু গ্রামে এই মাদক ব্যবসায়ী ও প্রতারকচক্রের কর্মকাণ্ড বিস্তৃত। 

মোশারফ হোসেন ও তার সহযোগীরা আগে কৃষিকাজসহ অন্যান্য পেশায় ছিলেন। তাঁদের আর্থিক অবস্থার দ্রুত পরিবর্তন দেখে অন্যান্য যুবকও মাদক ব্যবসা ও প্রতারণার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন।

থানা পুলিশের তথ্য মতে, এর আগে  মাদক সম্রাট মোশারফ হোসেন কে আত্মসমর্পণও করিয়েছিল পুলিশ। এতেও কাজ হচ্ছে না।

মাদক

আরও পড়ুন