• ঢাকা
  • রবিবার , ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , বিকাল ০৩:৫৭
ব্রেকিং নিউজ
হোম / অন্যান্য

জলাবদ্ধতার কারণে বিড়ম্বনায় কৃষক ফসল আবাদে বিলম্ব

রিপোর্টার : ফাহাদ মোল্লা
জলাবদ্ধতার কারণে  বিড়ম্বনায় কৃষক ফসল আবাদে বিলম্ব প্রিন্ট ভিউ

ফাহাদ মোল্লাঃ

শ্রীনগরে বিভিন্ন চকে ঝূর্ণিঝড় মিধিলি’র প্রভাবে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। অতি বৃষ্টির ফলে অধিকাংশ শুকনো জমিতে ধান-আলুর চাষে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। এই পরিস্থিতিতে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলা আড়িয়ল বিলে ধানি জমি ও উপজেলার পূর্ব অঞ্চলের কয়েকটি এলাকায় আলু চাষীরা বিপাকে পড়েন। তারা বলছেন মিধিলি’র ঝড়-বৃষ্টির কারণে ভরা মৌসুমে রবিশস্য আবাদে অন্তত ১৫ দিন পিছিয়ে পড়েছেন তারা। টানা বৃষ্টিতে বীজ বপনকৃত আগাম সরিষার জমিও নষ্ট হয়ে গেছে। অসময়ের বৃষ্টিতে শীতকালীন শাক-সবজির ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়। এতে প্রান্তিক কৃষক ফসলের কাঙ্খিত ফলন না পাওয়াসহ লোকসানের শঙ্কায় পড়েছেন তারা সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বোরো মৌসুমকে সামনে রেখে উপজেলায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বির্স্তীণ আড়িয়ল বিলের শ্রীনগর অংশেই ৫ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম ধান চাষের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছিল। এসব ধান চাষের জন্য স্থানীয়রা জমি পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা ও বীজতলা প্রস্তুত করেন। এর মধ্যে মিধিলির প্রভাবে জমিতে জলাবদ্ধতার পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে কৃষকের ধানের বীজতলা বৃষ্টির পানিতে ডুবে। এসব জমিতে এখনও জলাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠেনি। ধারনা করা হচ্ছে কিছুদিনের মধ্যে এসব জমিতে ফসল আবাদের কর্মযজ্ঞ পুরোদমে শুরু হবে। জানা যায়, প্রায় ৫৭৫ হেক্টার জমিতে আগাম সরিষা, প্রায় ৬০০ হেক্টর জমিতে মৌসুমী শাক-সবজি ও প্রায় ২৩০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এই অঞ্চলের শতশত কৃষক মাঠে কাজ করছেন। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শ্রীধরপুর, মদনখালী, বাড়ৈখালী, আলমপুর, গাদিঘাট, দয়হাটাসহ আড়িয়ল বিল পাড়ের বিভিন্ন জমিতে আগাম ধান চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন কৃষক। এছাড়া উপজেলার কুকুটিয়া, পাটাভোগ, আটপাড়া, ষোলঘরের খৈয়াগাঁও, বীরতারাসহ বিভিন্ন চকে ধান, আলুসহ অন্যান রবিশস্য চাষাবাদের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এখানকার আলু চাষীরা বৃষ্টির কারণে কিছুটা বিড়ম্বনার শিকার হলেও এখন কোন কোন জমিতে চাষ দেওয়া হচ্ছে। তবে বেশীরভাগ কৃষকই জমির পানি নিস্কাশনের অপেক্ষায় আছেন। বৃষ্টিপাতে পূর্ব দেউলভোগ, খৈয়াগাঁও ও বীরতারা চকে বেশকিছু সরিষা জমি নষ্ট হয়ে গেছে। আলু চাষীরা জানান, আমরা জমি প্রস্তুত করছি। বৃষ্টির কারণে জমি চাষে বিলম্ব হচ্ছে। এখন প্রয়োজনীয় সার, বীজসহ কৃষি উপকরণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। সরিষা চাষীরা বলেন, বৃষ্টির কয়েকদিন আগে সরিষার বীজ বপণ করা হয়েছিল। বৃষ্টিতে সরিষার ক্ষতিসাধন হয়। শ্রীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহসিনা জাহান তোরণ জানান, ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র পূর্বাভাস আমরা আগেই কৃষককে জানিয়েছি। রবিশস্য বৃষ্টির পর রোপণ করবার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। বৃষ্টিতে কিছুটা সরিষার ক্ষতি হয়েছে। আমরা ক্ষতির পরিমাণ জানার চেষ্টা করছি। বৃষ্টির কারণে রবিশস্য আবাদ কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।

সারাদেশ

আরও পড়ুন