বগুড়ায় গত ৯ই ফেব্রুয়ারি শুক্রবার র‍্যাব-১২ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়,টাঙ্গাইল সখিপুর উপজেলার কচুয়া গ্রামের মৃত বাছেদ আলীর ছেলে জামাল হোসেন (৩৭) গত ২৩শে জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা হতে ২২টি গরু ক্রয় করে বিক্রির উদ্দেশ্যে নীলফামারী জেলার জলঢাকা বাজারে যান। পথিমধ্যে গত ২৪শে জানুয়ারি রাত আড়াই টার সময় শিবগঞ্জের রহবল গ্রামের দোসীমানা ইটভাটার নিকট পৌঁছলে ডাকাত দল বহনকারী একটি সাদা রংয়ের প্রাইভেট কার করে তাদের গরুবাহী ট্রাকের সামনে এসে গতিরোধ করে ট্রাক থামিয়ে ট্রাকে থাকা ব্যক্তিদের হাত-পা বেধে রেখে জমিতে ফেলে রেখে গরু নিয়ে পালিয়ে যায়।

পরবর্তীতে ভিকটিম বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে যার প্রেক্ষিতে অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে। র‌্যাব-১২ বগুড়ার আভিযানিক চৌকস টহল দল তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতায় শুক্রবার ৯ই ফেব্রুয়ারি বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলার আলাদিপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মৃত জলিলের ছেলে তাহাজ্জুল ইসলামকে (৩৮) ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১টি জ্যাকস্ক্রু,১টি,১টি রেঞ্জ,১টি হাতুরি,১টি লোহার পাইপসহ গ্রেফতার করে। এছাড়াও ধৃত আসামী দীর্ঘদিন যাবত ডাকাতির কাজে জড়িত। ধৃত আসামীর নামে বগুড়া জেলার সদর থানায় ৬টি,নওগাঁ জেলার বদলগাছী থানায় ২টি,বগুড়া শাজাহানপুর থানায় ২টি,রংপুর জেলার কাউনিয়া থানায় ১টি,জিএমপি’র কোনাবাড়ী থানায় ১টি,গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানায় ১টি,জয়পুরহাট কালাই থানায় ১টিসহ সর্বমোট ১৪টি চুরি,ডাকাতি,ডাকাতি প্রস্তুতি ও অন্যান্য অপরাধ জনিত মামলা রয়েছে বলে জানা যায়। ধৃত ব্যক্তি একটি সংঘবদ্ধ গরু ডাকাতি চক্রের সর্দার। এই চক্রের কয়েকজন সক্রিয় ভাবে ডাকাতি করে,কয়েকজন ডাকাতিকৃত মালামাল অন্যত্র পরিবহন করে নিয়ে যায়,আর অন্যান্য সদস্যরা লুন্ঠনকৃত মালামাল বিক্রয়ের ব্যবস্থা করে। তাদের নির্দিষ্ট ক্রেতা রয়েছে। ধৃত ব্যক্তি এযাবত ৫/৬ শত গরু চুরি/ডাকাতি করেছে মর্মে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়।

এবিষয়ে র‌্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানী কমান্ডার (পুলিশ সুপার) বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং জানান গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নিকটস্থ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে মর্মে জানায় তিনি।