• ঢাকা
  • রবিবার , ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , দুপুর ০২:০৯
ব্রেকিং নিউজ
হোম / অন্যান্য

কুড়িগ্রামে অবৈধ বালু ও মাটি উত্তোলনের মহোৎসব, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

রিপোর্টার : নিজস্ব প্রতিবেদক
কুড়িগ্রামে অবৈধ বালু ও মাটি উত্তোলনের মহোৎসব, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী প্রিন্ট ভিউ

আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার বিভিন্নস্থানে প্রশাসনের তোয়াক্কা না করেই চলছে মাটি-বালি কাটার উৎসব। ফসলি জমির মাঝে ভেকু ব্যবহারের কারণে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি, এতে হুমকির মুখে পড়েছে নদী পাড়ের জীবনযাত্রা। যা নদীর নাব্যতা ও পরিবেশের ভারসম্যের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলছে। ডোবায় পরিণত হচ্ছে পুকুর, বেকার হচ্ছে কৃষক।

মাটি ও বালি পরিবহনে ব্যবহৃত হচ্ছে ট্রাক্টর, এতে নষ্ট হচ্ছে এলাকার রাস্তাঘাট। অসংখ্য ট্রাক্টর চলাচলে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। মাঝে মাঝেই ঘটছে দুর্ঘটনা। ট্রাক্টরের মাধ্যমে দুর্ঘটনা প্রায়ই সংবাদের শিরোনাম হচ্ছে। প্রতিবছরই আহত ও নিহত সংখ্যা বেড়ে চলেছে।

গত ২৯ জানুয়ারি, সোমবার রাজিবপুরের পার্শ্ববর্তী রৌমারীর উপজেলার দাঁতভাঙ্গায় ট্রাক্টর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে প্রাণ যায় শহিদুল ইসলাম (১২) নামে এক কিশোরের। এ দুর্ঘটনা আহত হয়েছে আরো চারজন।

সরজমিনে উপজেলার নদীর পাড়ের বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা যায়, খননযন্ত্র দিয়ে মাটি কেটে দিনভর মাটি-বালি বিক্রি হচ্ছে। ট্রাক্টর চলাচলে ফসলি জমির সাথে হুমকির মুখে রাস্তাঘাট। ধুলাবালিতে ছেয়ে গেছে এলাকাগুলো, যার কারণে চলাচলের মাঝেও ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এলাকাবাসীকে।

গত বছর মাটি সরবরাহের কারণে মন্ডলপাড়া এলাকার লোকজন নিষেধ করলে মাটি ব্যবসায়ীসহ অবৈধ কাকরা গাড়ির (ট্রাক্টর) চালকেরা মিলে এলাকার ছেলেদের কে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং হাতাহাতি ঘটনা ঘটে। এ ধরনের ঘটনা মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন এলাকায় লক্ষ্য করা যায়।

গত বছরের ১৬ এপ্রিল সার্বিক নিরাপত্তা সহ জনস্বার্থ বিবেচনায় এলাকাবাসীর পক্ষে মোঃ এরশাদ আলী জেলা প্রশাসক বরাবর বালি উত্তোলন সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা অভিযোগ আকারে লিখে একটি আবেদন দাখিল করেন।

এছাড়াও একই দিন তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান বরাবর সমস্যাগুলো অভিযোগ আকারে আরো একটি আবেদন দাখিল করেন।

আবেদনে বালু উত্তোলন সাথে সম্পৃক্ত তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়। তবে তাদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।

এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ২ মে তারিখে তথ্য ও অভিযোগ শাখার সহকারী কমিশনার সুনন্দা সরকার প্রমার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে অভিযোগের এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ প্রসঙ্গে তৎকালীন উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়। তবে সে সময় এ বিষয়ে তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি।

পরবর্তীতে পুনরায় এ বছরের ১৫ জানুয়ারি রাজিবপুর উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। ফলশ্রুতিতে উপজেলা ভূমি অফিসারকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এসব বিষয়ে রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানভীর আহমেদ জানান, প্রজ্ঞাপনটি আমরা পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এসিল্যান্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসানকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সারাদেশ

আরও পড়ুন