• ঢাকা
  • রবিবার , ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , সকাল ১০:৫১
ব্রেকিং নিউজ
হোম / অন্যান্য

বাঁচতে চান অসুস্থ নাজমুল।

রিপোর্টার : নিজস্ব প্রতিবেদক
বাঁচতে চান অসুস্থ নাজমুল। প্রিন্ট ভিউ

নবদিগন্ত ডেস্কঃ

 বগুড়ার মালতীনগর দক্ষিন পাড়ার বাসিন্দা মোঃ নাজমুল ইসলাম । বাবা মৃত কৃষিবিদ ডাঃ খাদেম আলী ( তার বাবা সাবেক উপজেলা   প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ছিলেন) অসুস্থ  নাজমুল ইসলাম  অনেক গুলো জটিল দুরারোগ্য  রোগ নিয়ে চরম আর্থিক সংকটে পরিবার নিয়ে খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এলাকা সূত্রে জানা যায়, শাজাহানপুর উপজেলার  মালতীনগর (দক্ষিণ পাড়া) এলাকার অসুস্থ নাজমুল একটি ভাল চাকুরী করতেন,  সংসার জীবনে তিনি বিবাহিত, ঘরে আছে তার মা, স্ত্রী, এক সন্তান সব মিলিয়ে ভালোই কাটছিল তার সংসার জীবন। কিন্তুু ভুল চিকিৎসা একের পর এক দুর্ঘটনার জন্ম দেয়। সে এখন খুব অসুস্থ শারীরিক প্রতিবন্ধী পরিবার সহ নিস্ব অসহায়। তার অসুস্থ জীবনে প্রথমে তিনি ভুল চিকিৎসার স্বীকার হন। তারপর থেকেই মলদ্বারে জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে যান, সেখানে অপারেশন করার পর মলদ্বারে বড় ধরনের ইনফেকশন হয়ে যায়। মলদ্বার দুই  ইনচি গর্ত হয়ে যায় পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।


তার বৃদ্ধ মা  মোছা:নার্গিস বেগম বলেন, একমাত্র ছেলেক বাঁচাতে অনেক চিকিৎসা করি, যা সঞ্চয় সম্বল ছিল সবকিছুই শেষ হয়ে যায়। তারপরও ছেলে দেশের চিকিৎসায় ভালো না হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য  আত্মীয়-স্বজনের কাছে ধার কর্য,  সুদের কিছু টাকা এবং বিভিন্ন ব্যাংক,  এনজিও প্রতিষ্ঠান  থেকে   উচ্চ সুূদে লোন নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভারতে যান,   সেখানে ডাক্তর পরিক্ষা নিরিক্ষার পর বলে বাংলাদেশ এর চিকিৎসা গুলো সঠিক ছিলনা,  ভারতে আবারো বড় অপারেশন হয়, অপারেশন পর করোনার মধ্যে ভারতে আটকে যায়, চিকিৎসা খরচ কয়েকগুন বেশি হয়, অপারেশন করলে একটু সুস্থ বোধ করে, পরে তাকে দেশে আনা হয়। ভুলচিকিৎসা সহ দুবার অপারেশনে সহায় সম্বল সব শেষ করে  সুূদের টাকা সহ অনেক টাকা ঋণ, ঋণের বোঝা মাথায়   নিয়ে চরম  আর্থিক সংকটের মধ্যেও কোন রকম চার সদস্যের পরিবার নিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেন, ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস,দেশে আসার কিছুদিনের মধ্যেই আবার মারাত্মক এক্সিডেন্ট করেন, এক্সিডেন্টে, বাম পা কোমরের হিপ জয়েন্টে মারাত্মক ভাবে  ভেঙে যায়,  

এ বিষয় নিয়ে নাজমুলের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি জানান, পায়ে রড দেয়া ছিল, পায়ে দুবার করে অপারেশন হয়েছে, অপারেশন পর আমার পা ছোট বড় হয়ে গেছে , আমি এখন শারীরিক প্রতিবন্ধী, ভুল চিকিৎসা সহ চারবার বড়  অপারেশন শরীরের  রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে, এজন্য পরবর্তিতে  আমার দুচোখ বিরল জটিল রোগে আক্রান্ত, ডাক্তার বলছে চোখের মনি (কর্নিয়া)  পরিবর্তন করতে হবে, মৃত মানুষের কর্নিয়া সংযোজন করলে ভাল হবে,  পরিপাকতন্ত্রের ঘা, এ্যাজমা শ্বাসকষ্ট, জটিল ফাঙ্গাস চর্ম, কানে সমস্য,  আরো অনেক দূরারোগ্য রোগে  আক্রান্ত আমি। আমার  দেহ যেন রোগের বাসস্থান!  আজ প্রায় চার বছর কোন কর্ম করতে পারি না।আমি ঋণে জর্জরিত,আমার অনেক টাকা ঋন, আমার বসত ভিটা আইপি ডিসি নামক ব্যাংকে বন্ধক রয়েছে।নিজের বলতে আর কিছুই নেই, সব মিলিয়ে আমার সুূদসহ প্রায়  ২৮ লাখ টাকা ঋন। ঋনের টাকা পরিশোধের জন্য ব্যাংক এবং অন্যন্যা পাওনাদার অমানবিক অত্যাচার করছে। পাওনাদাররা প্রায়ই বাড়ি থেকে বের করে দিতে আসে। পরিবারসহ বেঁচে থাকার কোন পথই নেই আমার। চার সদস্যের পরিবার নিয়ে মানবতার দানে কোনমত খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছি।টাকার অভাবে সন্তানের লেখাপড়া  বন্ধ  ছিল, এক জনের একটু সহায়তা স্কুলে ভর্তি করে দিলেও  লেখা পড়া অনিশ্চয়তা  হয়ে পড়েছে,  কেউ সাহায্য করলে তিনবেলা খাবার হয়, চিকিৎসা চলে,  নইলে উপোস থাকতে হবে,  চিকিৎসা বন্ধ চলে না, প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর,  কৃষি বিদ এসোসিয়েশন,  প্রধান মন্ত্রী সহ  বৃত্তবান  সহ সকল স্তরের সকল মানুষের কাছে আকুল আবেদনের সাথে ভিক্ষা চাইছি। আমার ভারতে চিকিৎসার প্রয়োজন এবং তিনবেলা খাবার প্রয়োজন।আমি আমার পরিবারকে নিয়ে বাঁচতে চাই।

জীবনের গল্প

মানবিক পোস্ট

সড়ক দুর্ঘটনা

আরও পড়ুন