• ঢাকা
  • রবিবার , ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , বিকাল ০৪:১৪
ব্রেকিং নিউজ
হোম / জাতীয়

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে সাবেক দুই উপজেলা চেয়ারম্যানের হাড্ডা হাড্ডি লড়াইয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২৪ জমজমাট

রিপোর্টার : নিজস্ব প্রতিবেদক
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে সাবেক দুই উপজেলা চেয়ারম্যানের হাড্ডা হাড্ডি লড়াইয়ে  জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২৪ জমজমাট প্রিন্ট ভিউ

রকিবুল হাসান রাকিব, শেরপুর প্রতিনিধিঃ

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের আসন ১৪৫ শেরপুর-৩ (ঝিনাইগাতী-শ্রীবরদী)  নির্বাচন জমে উঠেছে। এখানে লড়াই হবে শ্রীবরদী উপজেলা চেয়ারম্যান সদ্য পদ থেকে পদত্যাগ  করে সংসদীয় নির্বাচন করা নৌকার প্রার্থী এডিএম শহিদুল ইসলাম। যাকে দেশরত্ন শেখ হাসিনা তৃণমূলের জরিপের ভিত্তিতে নমিনেশন দিয়েছেন। অন্য দিকে ঝিনাইগাতী উপজেলার সদ্য সাবেক উপজেলা  চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাঈম যিনি ট্রাক মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। উভয়প্রার্থী দীর্ঘদিন যাবত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট ও সমর্থনের জন্য নির্বাচনী এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চল চশে বেড়াচ্ছেন। উভয় প্রার্থী অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রার্থীদের মন জয় করার চেষ্টা করেছেন।ভোটের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই  নৌকার প্রার্থী এগিয়ে যাচ্ছেন। তার উল্লেখযোগ্য কারণ হলো শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন বিপ্লব। এ সরকারের অভূতপূর্ব উন্নয়নে পাহাড়ী  জনপদের হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, কোচ, হাজংসহ সকলে অত্যন্ত খুশি। এ অঞ্চলে সারের গোডাউন, বাঁকাকুড়ায় কালচারাল একাডেমি ভবন  ও ব্রিজ নির্মাণ কৃষকদের জন্য নলকুড়ায় রাবার ড্যাম, শত শত আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণ যা ইতিমধ্যেই আশ্রয়হীনদের  মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তিনানি এলাকায় সারের গোডাউন এবং মার্কেটে নির্মাণ,পাইকুড়ায়  মার্কেট ও ব্যয়বহুল গভীর পাম্প স্থাপন। ঝিনাইগাতীতে  মডেল থানা,  মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ জাতীয়করণ, বয়স্ক ভাতা,  উপবৃত্তি , কৃষি  যন্ত্রপাতি বিতরণ, কৃষি প্রনোদনা সহ কৃষকদের প্রচুর সহায়তা দিয়েছেন।  মসজিদ মাদ্রাসা, গীর্জা, মন্দির, প্যাগোডার, কবরোস্হান, শ্মশানের উন্নয়ন করেছেন  বিদ্যুৎ ও রাস্তাঘাটও  চিকিৎসা খাতের ব্যাপক উন্নয়ন  সাধন করেছেন। বাকি কিছু রাস্তাঘাট এবং ব্রিজের দাবি ভোটারদের, সেগুলোও করে দেয়া হবে বলে বক্তব্যে বলা হচ্ছে।এভাবে শ্রীবরদীতেও  ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। অন্যদিকে শহিদুল ইসলাম ব্যক্তিগতভাবে অনেক জনপ্রিয় তিনি দুইবারের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন আকর্ষণীয় ব্যাপার হল তিনি সর্বশেষ নৌকা মার্কা নিয়ে  ইউনিয়ন  পরিষদের  চেয়ারম্যান থাকাকালীন আড়াই বছর বাকি থাকতেই পদত্যাগ করে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে উপজেলা নির্বাচন করে বিপুল ভোটের ব্যবধানে  জয়ী  হন।  জননেত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত বিচক্ষণ ভাবে তৃণমূলের গোয়েন্দা রিপোর্টের মাধ্যমে মনোনয় দেন। এ জন্য সকল মুক্তিযোদ্ধা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী আমজনতা অত্যন্ত খুশি। আওয়ামী লীগের কিছু  নেতাকর্মী বিভিন্ন প্রার্থীর নির্বাচন করলেও তারা সকলে ইতি মধ্যে  ফিরে এসে নৌকা মার্কার নির্বাচন করছেন যার ফলে নৌকার গণজোয়ার সবচেয়ে বেশি এ আসনে। আর এ গণজোয়ার বেশি হওয়ায় অত্র অঞ্চলের ভোটারদের দাবি তারা শেখ হাসিনাকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে এ আসন  উপহার দেবে কিন্তু শেখ হাসিনা যেন আমাদের একটি মন্ত্রী উপহার দেয়। পাহাড়ি এই জনপদে ভোটারদের মুখে মুখে মন্ত্রীর দাবি। ভোটারদের আরো খুশির কারণ হলো এমপি না হতেই শেখ হাসিনার সাথে প্রথম ভিডিও সাক্ষাতে  শেরপুরের জন্য মেডিকেল কলেজ ও ঝিনাইগাতীতে সীমান্ত হাট চেয়েছেন এতে জনতা বুঝতে পারেন ঝিনাইগাতী শ্রীবরদীর উন্নয়ন তার মাধ্যমে হতে পারে।

এ সকল কারণে ঝিনাইগাতী শ্রীবরদীর এ আসন সহজেই আওয়ামীলীগ  পাবে বলে রাজনৈতিক বোদ্ধারা  মনে করে।

নির্বাচন

আরও পড়ুন