• ঢাকা
  • রবিবার , ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , দুপুর ০২:০৬
ব্রেকিং নিউজ
হোম / অন্যান্য

আড়িয়ল বিলে উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়ার বিশাল সাইজের সমারোহ

রিপোর্টার : নিজস্ব প্রতিবেদক
আড়িয়ল বিলে উৎপাদিত মিষ্টি কুমড়ার বিশাল সাইজের সমারোহ প্রিন্ট ভিউ

ফাহাদ মোল্লাঃ

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় বির্স্তীণ আড়িয়াল বিলের বিভিন্ন 

ভিটায় উৎপাদিত মিষ্টির কুমড়ার কাঙ্খিত দাম লাভের স্বপ্ন দেখছেন কুমড়া চাষীরা। তবে মোজাইক ভাইরাসের (শ্বেতি রোগ) আক্রমণ ও বৈরি আবহাওয়ায় কুমড়ার আশানুরূপ ফলন পাননি 

তারা। বিশেষ করে শ্বেতি রোগের আক্রমণে আড়িয়ল বিলে অসংখ্য ভিটায় চাষকৃত কুমড়ার ক্ষতি হয়েছে। পাইকারী বাজারে কুমড়ার দাম ভালো পাওয়ায় ভালো হওয়ায় স্থানীয় কৃষকরা আনন্দ প্রকাশ করেছেন। স্থানীয় পাইকাররা আড়তে এসব কুমড়ার কেজি বিক্রি করছেন ৩৫-৪০ টাকা। বর্তমান 

খোলাবাজারে কুমড়ার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা করে। এ বছর কুমড়ার উৎপাদণ কম হলেও 

দামে পুষিয়ে নিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট কুমড়া চাষীরা। 

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, শ্রীনগর উপজেলার গাদিঘাট বাজার সেতু সংলগ্ন ট্রালার ভর্তি বিশাল সাইজের কুমড়ার সমারোহ। আড়িয়ল বিলের বিভিন্ন ভিটায় উৎপাদিত এসব কুমড়া আনা হচ্ছে বিক্রির জন্য। স্থানীয় পাইকাররা ট্রলারে থাকা এসব কুমড়ার লট চুক্তি কিনে নিচ্ছেন রাজধানীর বিভিন্ন সবজির পাইকারী বাজারে। শ্রমিকরা নৌকার কুমড়া আনলোড করে ট্রাকে লোড করছেন। শামসুল দেওয়ান বলেন, গত ৬/৭ বছর ধরে কুমড়ার ভিটায় শ্বেতি রোগের আক্রমণে কাঙ্খিত ফলন পাচ্ছেন না। রোগটির হানায় ভিটায় কুমড়া গাছসহ অপরিপক্ক কুমড়া পঁচে গেছে। শ্বেতি রোগ দমনে কোন প্রতিকার খুঁজে পাচ্ছেন না। গেল বছর শ্বেতির আক্রমণ ও কুমড়ার বাজার মূল্য না পাওয়ায় লোকসান হয়েছে তার। এ বছর তিনি ২০টি ভিটায় বড় সাইজের লম্বাকৃতির কুমড়ার (আঞ্চলিক নাম চৈত্রালী কুমড়া) আবাদ করেছি। এ পর্যন্ত ৭০ হাজার টাকার কুমড়া বিক্রি হয়েছে। বাবুল বেপারী বলেন, আজ ৮০ হাজার টাকার কুমড়া বিক্রি করেছি। তবে ঝূর্ণিঝড় মিকজাউম ও শ্বেতি রোগের প্রভাবে কুমড়ার সাইজ অনেকাংশে ছোট হয়েছে। কৃষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, তিনি ৪০টি ভিটায় কুমড়ার চাষ করেছেন। এরই মধ্যে দেড় লাখ টাকা বিক্রি হয়েছে। এ সিজনে সাড়ে ৩ লাখ টাকার কুমড়া বিক্রির স্বপ্ন দেখছেন তিনি। জানতে পেরেছি ঢাকার কারওয়ান বাজার আড়তে কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। শ্বেতি রোগ ও বৈরি আবহাওয়ার কারণে আড়িয়ল বিলে ভিটায় ঐতিহ্যবাহী কুমড়ার চাষ এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে। চৈত্রালী এ জাতের একেকটি কুমড়ার ওজন ৫০-৮০ কেজি হলেও এ বছর কুমড়ার আকৃতি ছোট হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসার মোহসিনা জাহান তোরণ জানান, শ্বেতি রোগ প্রতিরোধের ইপিটা ক্লোরোপিড গ্রুপের কীটনাশক স্প্রে করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ বছর আড়িয়ল বিলে ১২০ হেক্টার জমিতে কুমড়ার চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

সারাদেশ

বাংলাদেশ

ভিন্ন স্বাদের খবর

আরও পড়ুন