• ঢাকা
  • রবিবার , ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , রাত ০২:২৯
ব্রেকিং নিউজ
হোম / সারাদেশ

কুড়িগ্রামে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

রিপোর্টার : আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু প্রিন্ট ভিউ

আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:-

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার খেরুয়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মসিহুর রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ ফেব্রুয়ারি দৈনিক আমাদের বার্তার শিক্ষা পাতার ৬ পৃষ্ঠায় ‘প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়।

এছাড়াও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওমর আলী নামের এক অভিভাবক। পরে অভিযোগের প্রেক্ষিতে ও দৈনিক আমাদের বার্তায় সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি তদন্তের জন্য উলিপুর শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) ফরহাদ হোসেন খন্দকারকে আহবায়ক করে ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের ৪ মার্চ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নবেজ উদ্দিন সরকার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ দেন। 

আদেশে বলা হয়েছে, চিলমারী উপজেলার খেরুয়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মসিহুর রহমানের বিরুদ্ধে বরাদ্দকৃত অর্থ আত্মসাৎ, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, সহকারী শিক্ষকগণের সাথে অসদাচরণসহ বিভিন্ন অনিয়ম উল্লেখ করে অভিযোগ দাখিল করেন অভিভাবক ওমর আলী। পরে অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের জন্য সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেন।

উলিপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) ফরহাদ হোসেন খন্দকারকে আহবায়ক করে সদস্য হিসেবে উলিপুর শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) জাকির হোসেন ও চিলমারী উপজেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) জাহেদুল ইসলামকে পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য অনুরোধ করেন। 

অভিযোগকারী অভিভাবক ওমর আলী দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, কর্মকর্তারা তদন্ত করতে গড়িমসি করছেন। কারণ আমি গত ২৯ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো. মসিহুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ে কোনো কর্মকর্তা তদন্ত করতে আসেনি এবং অভিযোগগুলো পুরোটায় মিথ্যা। 

তদন্তের বিষয় মুঠোফোনে জানতে চাইলে উলিপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিও) ও তদন্তকারী কর্মকর্তা (আহবায়ক) মো. ফরহাদ হোসেন খন্দকার বলেন, ব্যস্ততার কারণে তদন্ত করতে পারিনি। তবে খুব শিগগিরই সরেজমিন গিয়ে তদন্ত করা হবে।

সারাদেশ

আরও পড়ুন