• ঢাকা
  • রবিবার , ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , রাত ১০:১৮
ব্রেকিং নিউজ
হোম / অন্যান্য

সোনাতলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খসে পরছে ছাদের প্লাস্টার, ঝুঁকিপূর্ন শ্রেনী কক্ষ

রিপোর্টার : নুরে আলম সিদ্দিকী সবুজ
সোনাতলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খসে পরছে ছাদের প্লাস্টার, ঝুঁকিপূর্ন শ্রেনী কক্ষ প্রিন্ট ভিউ

সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ

বগুড়ার সোনাতলা পৌর এলাকার বোচারপুকুরস্থ কানুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় একটি প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আশানুরুপ কোলাহল থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের রক্ষণাবেক্ষণ ও সুষ্ঠ নজরদারির অভাবে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে।

স্কুলটির একমাত্র জরাজীর্ণ ভবনটিতে ঝুঁকি নিয়েই চলছে কমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান। তেমনি স্কুলটির মাঠের সাথেই রয়েছে সোনাতলা টু মোকামতলা আঞ্চলিক সড়ক। ছোট ছোট কচি কাঁচা কমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়ার সময় করে ছোটাছুটি। এতে করে যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে দূর্ঘটনা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া চালিয়ে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে বিদ্যালয়ের সাথে সড়ক ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের এ বিদ্যালয়ে শিশুদের পাঠিয়ে দু:শ্চিন্তায় ও উদ্বিগ্নতায় ভুগছেন অভিভাবকেরা। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বার বার এ বিষয়ে মৌখিক অবহিত করেও সমস্যা সমাধানের কোন সুরাহা হয়নি বলে জানা গেছে।

১৩ নভেম্বর সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয় ভবনের ছাদের প্লাস্তার খসে খসে পড়ে রড বেরিয়ে আসছে। দেয়ালেও দেখা দিয়েছে অসংখ্য ফাটল। এমন ঝুঁকি আর আতঙ্কের মধ্যেই শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে চলছে পাঠদান।

১৯৩০ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯৮৯-৯৯ সালে এলজিইডির অর্থায়নে প্রায় ১৮ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা ব্যয়ে স্কুল ভবন পূনর নির্মাণ হয়। ভবন নির্মাণের দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও কোনো সংস্কার না করায় ভবনটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পরেছে। দীর্ঘদিনের ভবনটি জরাজীর্ণ হয়ে বর্তমানে পাঠদানের অনুপযোগী হয়ে আছে। অন্য কোন ভবন না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই চালাতে হচ্ছে পাঠদান কার্যক্রম।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সিনথিয়া সিদ্দিকা ও মারিয়া খাতুনসহ অনেকেই বলেন, আমাদের স্কুলটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় মা-বাবা আমাদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পায়। ঝড়-বৃষ্টির দিনে ছাদের পানি পড়ে জামা কাপড়, বই খাতা ভিজে যায়। আমাদের সবসময় ভয়ের মধ্যে ক্লাস করতে হয়।

কানুপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা বিলকিস বেগম জানান, ক্ষুদ্র মেরামত করা হলেও কিছুদিন পর আবার একই অবস্থার সৃষ্টি হয়। ফলে ঝুঁকির কারণে ভয়ে বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীরা ক্লাসে উপস্থিত হার দিন দিন কমে যাচ্ছে। এছাড়াও বিদ্যালয়ের সাথে আঞ্চলিক সড়ক ছোট ছোট কচি কাঁচা ছেলে মেয়েরা যে ভাবে ছোটাছুটি করে যায় এতে আমরা দূরচিন্তায় থাকতে হয়। উপজেলা প্রকৌশলী অফিস থেকে এসে দু-তিনবার মাপযোগ করে গেছে কেনো জানি বাউন্ডারি এ প্রতিষ্ঠানে হয়না আমরা বুঝিনা।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী সবুজ বলেন, জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকির মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছে। সে সাথে বিদ্যালয়ের সাথে রয়েছে আঞ্চলিক সড়ক এমন পরিস্থিতিতে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ইতি মধ্যেই মাস তিনেক আগে স্কুল চলা কালে প্লাস্তার খসে পড়ে অল্পের জন্য তিন শিক্ষার্থী বেঁচে গেছে।

অভিভাবকসহ স্থানীয়দের দাবি বিদ্যালয়টি পাঠদান উপযোগী করে গড়ে তুলতে নতুন ভবন খুবই দরকার। সে সাথে বিদ্যালয়ের চার পাশে বাউন্ডারি ওয়াল খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ এনাতুর রশিদ বলেন, প্রায় দু মাস ধরে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে আছি তবে বিষয়টি অবগত আছি। পুর্বে কোন তালিকা পাঠানো হয়েছে কি না তা আমার জানা নেই। যখন তালিকা পাঠানোর সময় সে সময় হরিখালী ক্লাষ্টারের দায়িত্বে ছিলাম। আমি বিদ্যালয়ে সরেজমিনে গিয়েছিলাম কোন কাজ হয়নি। আগামিতে তালিকা প্রনয়নের সময় নাম পাঠানো হবে।

শিক্ষা

স্কুল

আরও পড়ুন