• ঢাকা
  • রবিবার , ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , সকাল ০৬:১২
ব্রেকিং নিউজ
হোম / অন্যান্য

পরকিয়ার টানে রংপুর থেকে ভূঞাপুর হাসপাতালের বারান্দায় সারারাত

রিপোর্টার : মোহাম্মদ সোহেল
পরকিয়ার টানে রংপুর থেকে ভূঞাপুর হাসপাতালের বারান্দায় সারারাত প্রিন্ট ভিউ

মোহাম্মদ সোহেল, ক্রাইম রিপোর্টার (টাঙ্গাইল)

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে প্রেমিকার অপেক্ষায় হাসপাতালের বারান্দায় বসে সারারাত কাটিয়ে দিলেন মাটি মামুন নামের এক যুবক। গতকাল রবিবার বিকেলে সে রংপুর থেকে আসে ভূঞাপুর হাসপাতালে। তার প্রেমিকা দুই সন্তানে জননী, ভূঞাপুর হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হাসিনা বেগমের আশায়। কিন্তু হাসপাতাল কোয়ার্টারে দোতলায় থাকা হাসিনা বেগম কোনো ভাবেই

ওই রাতে তার সাথে দেখা করেনি। প্রেমিকার অপেক্ষায় থেকে তাকে সারারাত পার করতে হয়েছে হাসপাতালের বারান্দায়।

সোমবার (১ জানুয়ারি) সকালে বিষয়টি টের পেয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের দুজনকে একত্র করে ভূঞাপুর থানার পুলিশ দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই হাসিনা বেগম রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী (আয়া) হিসেবে চাকুরিতে যোগদান করেন। সে রংপুরের কোতোয়ালি থানার ধাপসাগর পাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে। রংপুর মেডিকেল কলেজে থাকা অবস্থায় তার এমন অপকর্মের জন্য কর্তৃপক্ষ ভূঞাপুর হাসপাতালে শাস্তিযোগ্য বদলী করে। এখানে এসে টি এস ও ডাঃ আব্দুস ছোবাহানের অনুকম্পায় বিধি বহির্ভূত ভাবে হাসপাতাল কোয়ার্টারে বহাল তবিয়তেই একবছরের অধিক সময় পার করেছ। হাসপাতালে তাকে কোন কাজ করতে হয় না, যখন খুশি সপ্তাহ জুড়ে বাহিরে থাকে সাত দিনের হাজিরা স্বাক্ষর বড় কর্তার সহায়তায় একদিনেই করে ফেলেন। এছাড়া হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী কোনো চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী কোয়ার্টারে থাকার কথা না থাকলেও, তিনি ভূঞাপুরে যোগদানের সাথে সাথেই কোয়ার্টারে  উঠে গেছেন। হাসিনা বেগমের পর্শী একই গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে মাটি মামুন জানান, হাসিনা বেগমের প্রথম স্বামী ছেড়ে দেওয়ার পর আমি তাকে চার বছর আগে বিয়ে করি বিয়ের দুই বছর ঘর সংসার করার পর আবার ভেঙ্গে যায়। কিছুদিন যেতে না যেতেই আবার সখ্যতা গড়ে উঠে। ভূঞাপুর হাসপাতাল কোয়ার্টারে আমি একাধিকবার এসেছি,  তার সাথে বেশ কিছু টাকার লেনদেন হয়েছে,  আজ তার সাথে টাকা ফেরৎ নিতে এসেছি বিধায় সে আমার ফোন ধরছে বাসায়ও ঢুকতে দিচ্ছে না।

সারাদেশ

আরও পড়ুন