• ঢাকা
  • রবিবার , ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , সকাল ১১:৪৮
ব্রেকিং নিউজ
হোম / অন্যান্য

টংঙ্গীবাড়ী উপজেলার আড়িয়ল ইউনিয়নে অবৈধ ড্রাম ড্রেজার বসিয়ে চলছে কৃষি জমি ভরাট

রিপোর্টার : ফাহাদ মোল্লা
টংঙ্গীবাড়ী উপজেলার আড়িয়ল ইউনিয়নে অবৈধ ড্রাম ড্রেজার বসিয়ে চলছে  কৃষি জমি ভরাট প্রিন্ট ভিউ

ফাহাদ মোল্লা 

 মুন্সিগঞ্জের টংঙ্গীবাড়ী উপজেলার আড়িয়াল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে ধামপাড়ায় ৯৮ শতাংশ কৃষি জমিতে অপরিকল্পিত ভাবে অবৈধ ড্রাম ড্রেজার বসিয়ে ফসলি জমি থেকে বালু মাটি উত্তোলন করে ভরাট করা হচ্ছে পার্শ্ববর্তী জমি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলছেন গ্রহণ করা হবে আইনি ব্যবস্থা। এলাকাবাসীর দাবি প্রশাসনের লোক এসে দেখে যায় কিন্তু কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে না। 

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বলই থেকে আড়িয়াল বাজার যাওয়ার পথে আড়িয়াল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে ধামপাড়ার গ্রামের শেষ অংশে চারটি ড্রাম ড্রেজার মেশিন বসিয়ে পাইপের মাধ্যমে পাশ্ববর্তী আপারকাটি গ্রামের আরেক টি ফসলি জমি ভরাট করা হচ্ছে। কৃষি জমি সুরক্ষা আইনের তোয়াক্কা না করে ড্রাম ড্রেজার বসিয়ে ফসলি জমি থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে আড়িয়াল ইউনিয়নের বাসিন্দা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ রশিদ বেপারীর বিরুদ্ধে। 

স্থানীয়দের অভিযোগ দিন ও রাতে সমানে কাজ করা হচ্ছে।জমি থেকে ৩০-৪০ ফুট গভীর থেকে মাটি ও বালু উত্তোলনের কারণে আশপাশের তিন ফসলি জমিগুলো ডোবায় পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে । বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০-এর ধারা ৫-এর ১ উপধারা অনুযায়ী, পাম্প বা ড্রেজিং বা অন্য কোনো মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। এ আইন অমান্যকারী দুই বছরের কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। কিন্তু বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ রশিদ বেপারী উল্লেখিত আইন কানুনের কোনো তোয়াক্কা করছে না

আড়িয়াল ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ড সাধারণ সদস্য কাওসার আহমেদ বাবু বিষয়টি নিয়ে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি জানান, প্রশাসনের লোকজন আসে যায় দেখছি কিন্তু কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। আমাদের এলাকার রশিদ ভাই কাজটি করছেন।এখানে ফসলি জমি খুবই ভালো। ঐখানে প্রায় ৯৮ শতাংশ জমি আছে।দিনে ও রাতে চারটি ড্রেজার মেশিন থেকে বালু মাটি উত্তোলন হচ্ছে। 

আড়িয়াল ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ আবু সালেক বিষয়টি নিয়ে তাকে জানানো হলো তিনি জানান, ফসলি জমি নষ্ট করে ওখানে কিছু ভরাট কাজ করতে বিষয়টি আমার জানা আছে । আমি উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) কে জানিয়ে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছি। 

টংঙিবাড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা আফরিনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান আমি বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানিনা। তবে খোঁজ নিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।প্রয়োজনে জরিমানা ও অবৈধ ড্রেজার পাইপ বিনষ্ট করা হবে। 

টংঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মু:রাসেজ্জামান বিষয়টি নিয়ে তার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।

সারাদেশ

আরও পড়ুন