• ঢাকা
  • রবিবার , ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , ভোর ০৪:০২
ব্রেকিং নিউজ
হোম / শিক্ষা

নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী পড়া-লেখা

রিপোর্টার : নিজস্ব প্রতিবেদক
নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী পড়া-লেখা প্রিন্ট ভিউ

সাইফুল ইসলাম,চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ

স্মার্ট এডুকেশন হল শিক্ষার গুণগত মান উন্নত করার জন্য বিভিন্ন প্রযুক্তির (কম্বিনেটরিয়াল অপ্টিমাইজেশান, মেশিন লার্নিং, বিগ ডেটা, ডেটা ভিজ্যুয়ালাইজেশন, ইন্টারনেট অফ এডুকেশন থিংস, লার্নিং অ্যানালিটিক্স এবং অন্যান্য) এর প্রভাব। অন্য কথায়, স্মার্ট এডুকেশন হল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং গবেষণা কেন্দ্র থেকে মানবিক, অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবস্থাপনার প্রক্রিয়া। স্মার্ট শিক্ষা স্মার্ট সোসাইটির অংশ (একটি স্মার্ট সিটির একটি উপাদান)। স্মার্ট এডুকেশন উপাদান হল ইন্টারনেট অফ এডুকেশন থিংস, শিক্ষার ভৌত ব্যবস্থাপনা, পরিকাঠামো, স্মার্ট ক্লাসরুম, স্মার্ট ক্যাম্পাস, স্মার্ট লার্নিং, লার্নিং অ্যানালিটিক্স, স্মার্ট অ্যানালাইসিস, ডেটা সায়েন্স, এডুকেশন ইমপ্যাক্ট এবং শিক্ষামূলক নীতি. বৈশিষ্ট্য, শ্রেণিবিন্যাস, স্মার্ট শিক্ষার সূচক। 

একজন গ্রীক দার্শনিক একবার বলেছিলেন, "জীবনের একমাত্র ধ্রুবক হল পরিবর্তন।" প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও একই কথা, যা গত কয়েক বছরে অত্যন্ত উন্নত হয়েছে এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক পরিবর্তন এনেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবতায় পরিপূর্ণতা পেয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ'-এ রূপান্তরে কাজ শুরু হয়ে গেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পদার্পণের জন্য প্রচলিত শিক্ষার পরিবর্তন নয়, প্রয়োজন রূপান্তর। সেই লক্ষে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা প্রণয়ণ করা হয়, যা ২০২৩ সালে বাস্তবায়ন শুরু হয়।

নুতন শিক্ষাক্রমে গতানুগতিক পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই, বরং নতুন ধরণের মূল্যায়নের কথা বলা হয়েছে। শিক্ষার্থী বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান কতটা মুখস্ত করতে পারছে, শিক্ষক কখনোই তার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীর অর্জিত পারদর্শিতার মাত্রা নির্ধারণ করবেন না। বরং যেসব পারদর্শিতার সূচকের ক্ষেত্রে বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান প্রাসঙ্গিক, সেখানে পাঠ্যপুস্তক বা অন্য যেকোনো নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে তথ্য নিয়ে কীভাবে সেই তথ্য ব্যবহার করছে তার উপর শিক্ষার্থীর পারদর্শিতার মাত্রা নির্ভর করবে। পূর্বে নম্বর প্রদানের প্রথা বিদ্যমান ছিল এতে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশি নম্বর পাওয়ার অসম প্রতিযোগিতা ছিল। কিন্তু একজন শিক্ষার্থীর শুধুমাত্র নম্বর পাওয়ার মধ্যেই তার মেধা যোগ্যতা নির্ভর করে না। তার অন্যান্য যোগ্যতাসহ সকল যোগ্যতাকে মূল্যায়ন এবং দূর্বলতা সবলতা চিহ্নিত করে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে বাস্তবমূখী শিক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণের কথা চিন্তা করে উন্নত দেশগুলোর মতো নতুন ধরণের মূল্যায়নের ধারা চালু করা হয়েছে। নতুন কারিকুলামে মূল্যায়ন প্রক্রিয়া শিখনকালীন ও সামষ্টিক এই দুটি পর্যায়ে সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে। এর সাথে আচরণগত সূচক ট্রান্সক্রিপ্টে সংযুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। ইতোমধ্যে কারিকুলাম বিস্তরণ বিষয়ক সরাসারি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে এবং মূল্যায়ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে মুক্তপাঠের মাধ্যমে অনলাইনে শিক্ষকগণ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। প্রশিক্ষণের ভিত্তিতে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে শুরু হওয়া কারিকুলাম অনুযায়ী শিখনকালীন মূল্যায়ন চলমান আছে এবং ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

শিখনকালীন মূল্যায়ন: শিখনকালীন মূল্যায়ন কার্যক্রম শিখন অভিজ্ঞতা চলাকালে পরিচালিত হবে। এই মূল্যায়ন কার্যক্রম প্রত্যেক বিষয়ের শিক্ষক আলাদাভাবে বিষয়ভিত্তিক করবেন। পাঠ্যবই অনুসরণ করে প্রতিটি শিখন অভিজ্ঞতা শেষে শিক্ষক সংশ্লিষ্ট শিখন যোগ্যতা মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত পারদর্শিতার সূচক বা PI (Performance Indicator) ব্যবহার করে শিখনকালীন মূল্যায়নের রেকর্ড সংরক্ষণ করবেন। এক্ষেত্রে গতানুগতির নম্বর দেওয়ার পরিবর্তে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর নির্ধারিত বিষয়ের পারদর্শিতার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট (PI) এর জন্য প্রদত্ত রুব্রিক্স অনুযায়ী চতুর্ভূজ, বৃত্ত বা ত্রিভূজ (, O, ) মাত্রা নির্ধারণ করবেন। শিক্ষার্থীদের নামের তালিকায় প্রত্যেকের পাশে যতটি মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করবেন সবগুলোই রেকর্ড রাখবেন। শিখনকালীন মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের দুর্বলতা সমুহ চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করতে পারবেন।

সামষ্টিক মূল্যায়ন: সামষ্টিক মূল্যায়ন বছরে দুইবার হবে। অর্থাৎ ৬ মাস পর ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন ও বছরের শেষ দিকে বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়ন। পূর্ব ঘোষিত এক সপ্তাহ ধরে এই মূল্যায়ন প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচালিত হবে। স্বাভাবিক ক্লাসরুটিন অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থীরা তাদের সামষ্টিক মূল্যায়নের জন্য অর্পিত কাজ সম্পন্ন করবে। বিষয় শিক্ষক এক সপ্তাহ আগে ৩/৪টি ক্লাসের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে বুঝিয়ে দিবেন এবং মূল্যায়ন উৎসবের দিন সামষ্টিক মূল্যায়ন শেষে অর্জিত পারদর্শিতার সূচক বা PI (Performance Indicator) ব্যবহার করে রেকর্ড সংরক্ষণ করবেন।

শিখনকালীন মুল্যায়ন একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিক্ষক পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দুর্বলতা সমুহ চিহ্নিত করতে পারেন এবং খুব সহজেই প্রয়োজনীয় পরামর্শের মাধ্যমে তা সমাধানের সুযোগ রয়েছে। আর সামষ্টিক মূল্যায়ন হল নির্দিষ্ট সময় পর পূর্ব ঘোষিত নির্ধারিত দিন শিক্ষার্থীরা তাদের নির্ধারিত কাজ বা অর্পিত কাজ শ্রেণিতে শিক্ষকের কর্ম পরিকল্পনায় একক বা দলগত কাজ, খাতায় লিখে, ব্যবহারিক, পোষ্টারে উপস্থাপন বা অভিনয় ইত্যাদির মাধ্যমে উপস্থাপন করবেন। সব কাজই শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে ক্লাসে অনুষ্ঠিত হবে এবং রুব্রিক্স অনুযায়ী শিক্ষক মূল্যায়ন করবেন। 

ষান্মাসিক ও বাৎসরিক সামষ্টিক মূল্যায়নের ট্রান্সক্রিপ্ট: প্রতি শিক্ষার্থীর জন্য প্রতি বিষয়ের আলাদা ট্রান্সক্রিপ্ট তৈরি করতে হবে। একজন শিক্ষার্থীর সবগুলো পারদর্শিতার সূচক বা PI (Performance Indicator) অর্জনের মাত্রা ট্রান্সক্রিপ্টে উল্লেখ করতে হবে। ষান্মাসিক এবং বাৎসরিক মূল্যায়নের পর এই ট্রান্সক্রিপ্ট প্রস্তুত করতে হবে, যা থেকে শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ প্রতিটি বিষয়ের শিক্ষার্থীর সামগ্রিক অগ্রগতির চিত্র বুঝতে পারবেন। 

শিখনকালীন ও ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নে শিক্ষার্থীর অর্জিত পারদর্শিতার মাত্রার ভিত্তিতে তার ষান্মাসিক মুল্যায়নের ট্রান্সক্রিপ্ট তৈরি করতে হবে। শিখনকালীন ও সামষ্টিক মূল্যায়নে একই পারদর্শিতার সূচকে একাধিকবার তার অর্জনের মাত্রা নিরূপন করতে হতে পারে। এরকম ক্ষেত্রে, একই পারদর্শিতার সূচকে কোনো শিক্ষার্থীর দুই বা ততোধিক বার ভিন্ন ভিন্ন মাত্রা পাওয়া গেলে ট্রান্সক্রিপ্টে নিম্নোক্তভাবে অর্জনের মাত্রা উল্লেখ করতে হবে।

শিখনকালীন অথবা সামষ্টিক যেকোনো একটি পারদর্শিতার সূচকে ত্রিভূজ () চিহ্নিত মাত্রা অর্জিত হয়, তবে ট্রান্সক্রিপ্টে ত্রিভুজ () মাত্রা উল্লেখ করতে হবে। 

শিখনকালীন অথবা সামষ্টিক যেকোনো একটি পারদর্শিতার সূচকে ত্রিভূজ () চিহ্নিত মাত্রা অর্জিত না হয়ে থাকে এবং অন্তত একবার হলেও বৃত্ত (O) চিহ্নিত মাত্রা অর্জিত হয়ে থাকে, তবে ট্রান্সক্রিপ্টে বৃত্ত (O) মাত্রা উল্লেখ করতে হবে।

শিখনকালীন অথবা সামষ্টিক দুই ধরনের মূল্যায়নে পারদর্শিতার সূচকে শুধুমাত্র চতুর্ভূজ () চিহ্নিত মাত্রা অর্জিত হয়, তবে ট্রান্সক্রিপ্টে চতুর্ভূজ () মাত্রা উল্লেখ করতে হবে। 

আচরণিক সূচক: শিখনকালীন এবং সামষ্টিক মূল্যায়নের পারদর্শিতার সূচকের পাশাপাশি আচরণিক সূচক বা BI (Behavioural Indicator) অর্জনের মাত্রা প্রত্যেক শিক্ষার্থীর ষান্মাসিক ও বাৎসরিক ট্রান্সক্রিপ্টে যুক্ত করতে হবে।  শিক্ষার্থীর আচরণিক সূচক সমূহ হলো- দলীয় কাজে সক্রিয় অংশগ্রহণ, নিজের বক্তব্য ও মতামত দলের সবার সাথে শেয়ার করছে এবং অন্যদের বক্তব্য শুনে গঠনমুলক আলোচনায় অংশ নিচ্ছে, নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানে পূর্ব নির্ধরিত প্রক্রিয়া অনুযায়ী কাজের ধাপসমূত যথাযথভাবে অনুসরণ করছে, শিখন অভিজ্ঞতাসমূহ চলাকালে পাঠ্যপুস্তকে বর্ণিত কাজগুলো সম্পন্ন করছে এবং বইয়ের নির্ধারিত স্থানে প্রয়োজনীয় ছক/অনুশীলনী পুরণ করছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্ধারিত কাজ যথাসময়ে সম্পন্ন করছে, দলীয় ও একক কাজের বিভিন্ন ধাপে সততার পরিচয় দিচ্ছে, নিজের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অন্যদের কাজে সহযোগিতা করেছে এবং দলে সমন্বয় সাধন করছে, অন্যদের দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতা ও বৈচিত্র্যের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে তাদের মতামতের গঠনমূলক সমালোচনা করছে, দলের অন্যদের কাজের উপর ভিত্তি করে গঠনমূলক ফিডব্যাক দিচ্ছে, ব্যক্তিগত যোগাযোগ, উপস্থাপন, মডেল তৈরি, উপকরণ নির্বাচন ও ব্যবহার ইত্যাদি ক্ষেত্রে পরিমিতিবোধ, বৈচিত্র্যময়তা ও নান্দনিকতা বজায় রেখে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। 

বছর জুড়ে পুরো শিখন কার্যক্রম চলাকালে শিক্ষার্থীর আচরণ, দলগত কাজে অংশগ্রহণ, আগ্রহ, সহযোগিতামূলক মনোভাব ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করে প্রতি বিষয়ের শিক্ষক আচরণিক সূচক বা BI (Behavioural Indicator) অর্জনের মাত্রা রুব্রিক্স অনুযায়ী লিপিবদ্ধ করে রাখবেন এবং তা ট্রান্সক্রিপ্টে যুক্ত করতে হবে।

ইতিবাচক দিক সমূহ: মূল্যায়নের ক্ষেত্রে যথা সম্ভব বিনামূল্যের ও স্বল্পমুল্যের উপকরণ ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে। মডেল/পোস্টার/ছবি ইত্যাদির চাকচিক্যের জন্য নাম্বারের কোনো হেরফের না করার নির্দেশনা এবং যেকোনো উৎস থেকে হুবহু কপি না করে নিজের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে করার বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। সব কাজ শ্রেণিকক্ষ বা পাঠদানের সময় শেষ করতে হবে এবং বাড়িতে গিয়ে যেন শিক্ষার্থীকে উক্ত কাজ করতে না হয় তা খেয়াল রাখতে হবে। মানসিক চাপ সৃষ্টি না করে প্রতিটি কাজ যেন আনন্দদায়ক হয় সেটা শিক্ষককে খেয়াল রাখতে হবে । এতে অভিভাববকদের চাপ এবং অসম প্রতিযোগিতা কিছুটা হলেও হ্রাস পেতে পারে। উক্ত মূল্যায়ন ফলপ্রসু বা সফল বাস্তবায়নের জন্য নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর প্রতি নজর দিতে হবে-

শিক্ষক শিক্ষার্থীর আনুপাতিক হার কমানো, শিক্ষকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ প্রদান, পর্যাপ্ত বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ, অবকাঠামোগত সুবিধা বৃদ্ধি, পর্যাপ্ত উপকরণ সরবরাহ, তদারকি বা সুপারভিশন, অভিভাবকদের সচেতনা বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা। 

প্রযুক্তির উৎকর্ষতার যুগে পরিবর্তনশীল বিশ্ব যেন বৈশ্বিক গ্রামে পরিণত হছে। উন্নত দেশের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য প্রয়োজন বৈশ্বিক নাগরিক। এই লক্ষকে সামনে রেখে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় নব নব ধারণাগুলো সংযোজন করা হয়েছে এবং কারিকুলামের নতুন বিষয় সমুহ সংযোজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পদার্পনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। নুতন কারিকুলামে শিখন সামগ্রী ব্যবহার করে কীভাবে শ্রেণি কার্যক্রমকে যৌক্তিকভাবে আরও বেশি আনন্দময় এবং শিক্ষার্থীকেন্দ্রীক করা যায় তার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। শ্রেণি কার্যক্রমকে শুধুমাত্র শ্রেণিকক্ষের ভেতর সীমাবদ্ধ না রেখে শ্রেণির বাইরে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে। এই রূপরেখার সফল বাস্তবায়নের জন্য দক্ষ যোগ্য এবং প্রশিক্ষিত শিক্ষক প্রয়োজন। মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় আগ্রহী এবং ধরে রাখার জন্য শিক্ষকদের মর্যাদা ও সুযোগ সুবিধা উন্নত দেশগুলোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে উন্নত করা প্রয়োজন। ২০২৩ সালের নতুন কারিকুলামের মাধ্যমে শুরু হওয়া স্মার্ট শিক্ষা ব্যবস্থা দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবে।

লেখক, গবেষক ও স্কাউটার—মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন

শিক্ষক—বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল (অনার্স—মাস্টার্স) মাদরাসা

সারাদেশ

শিক্ষা

আরও পড়ুন