• ঢাকা
  • রবিবার , ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , দুপুর ০২:১৪
ব্রেকিং নিউজ
হোম / অর্থ-বাণিজ্য

ফসলের মাঠে ব্লাস্ট রোগের আতঙ্কে, ফসল নষ্টের শঙ্কায় নেত্রকোনার কৃষকরা

রিপোর্টার :
ফসলের মাঠে ব্লাস্ট রোগের আতঙ্কে, ফসল নষ্টের শঙ্কায় নেত্রকোনার কৃষকরা প্রিন্ট ভিউ

রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা প্রতিনিধি ;




হাওরাঞ্চল বলে খ্যাত নেত্রকোনা জেলার হাওড়জুড়ে যখন ফসলের মাঠে সোনালি রঙে পূর্ণতা পাচ্ছে, ঠিক তখনই জেলার কৃষকদের ফসলের মাঠে দেখা দিয়েছে ব্লাস্ট আতঙ্ক। কৃষকরা অনেক টাকা খরচ করে ফলানো সোনার ফসল ঘরে তোলার স্বপ্ন ভঙ্গ হচ্ছে মাঠেই। এরই মধ্যে জেলার মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুরী ও মদনসহ বেশকিছু এলাকায় চিটা দেখা দিয়েছে ধানে।




সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, জেলার হাওড়াঞ্চলের অন্যতম ডিঙ্গাপোতা হাওড় ও মোহনগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়কটি ইউনিয়নজুড়ে এ হাওড়ের অবস্থান। তেতুলিয়া ও মাঘান ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, সবুজের মাঝে মাঝে সোনালি ধানের রঙ জানান দিচ্ছে পরিপূর্ণতা। কিন্তু কাছে গেলেই দেখা যায় বেশিরভাগ ধানের মাথা সাদা হয়ে আছে কিন্তু ভেতরে ফাঁকা।




ফসল নষ্টের আশঙ্কায় কৃষকরা অনেকেই আগাম কেটে নিচ্ছেন আধাপাকা ধান। কাটার পর অর্ধেক ধান মিললেও বাকি অর্ধেক কেবলই চিটা।   




কৃষকরা বলছেন, ব্রি-২৮ এবং ব্রি-২৯ ধানের এ অবস্থা দেখে আমাদের মতো গরীব চাষিরা হতাশ। চাষাবাদে আমাদের চাষাবাদে যে টাকা খরচ হয়েছে তার কিছুই উঠবে না। ।বেশিরভাগ ধানই নষ্ট হবার আশঙ্কা।


 

তেতুলিয়া ইউনিয়নের বড় পাইকুরাটি ও ফাগুয়া গ্রামের সুজিত মন্ডল, অধীর পাল ও মালতি পালসহ বেশ কয়েকজন কৃষক বলেছেন, ধানে চিটা আসায় তারা এ বছর খরচ তুলতে পারবেন না।



জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক (পিপি) এ এম শহিদুল ইসলাম বলেন, দিনে গরম, রাতে ঠান্ডা, আবার গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। এগুলো ব্লাস্ট রোগের অনুকূল পরিবেশ। এ রোগ দমনে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। পাশাপাশি করা হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকাও।



জেলার কৃষি অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) মো. আব্দুল মালেক জানান, এ বছর এখনো ধান কাটা শুরু হয়নি। আগামী ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে চলবে ৫ মে পর্যন্ত। সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে বিক্ষিপ্তভাবে অনেকে ধান কাটা শুরু করেছেন।




তিনি আরও জানান, বন্যার আগেই এবার ধান কাটতে পারবেন চাষিরা। এজন্য ৭৩০টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার ও ১৬ হাজার ৬৭৫ শ্রমিকের ব্যবস্থা করা হয়েছে।


ব্লাস্টের বিষয়ে মো. আব্দুল মালেক জানান, মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তারা সজাগ আছেন। তবে এখনো পাকা ধানের গড় হিসাব হয়নি।




এ বছর জেলায় ১ লাখ ৮৪ হাজার ৭৩৫ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে, যার মধ্যে হাওড়াঞ্চলে ৪৪ হাজার ৭৬৭ হেক্টর। জেলায় ব্রি-২৮ ধানের চাষ হয়েছে ৩৪ হাজার ২৯৮ হেক্টর জমিতে।


 

সারাদেশ

আরও পড়ুন