• ঢাকা
  • রবিবার , ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , ভোর ০৫:৩৪
ব্রেকিং নিউজ
হোম / তথ্যপ্রযুক্তি

১৫ মাস যাবত আউটসোর্সিং এর বেতন পাচ্ছেনা মুন্সিগঞ্জের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর কর্মীরা

রিপোর্টার : ফাহাদ মোল্লা
১৫ মাস যাবত আউটসোর্সিং এর বেতন পাচ্ছেনা মুন্সিগঞ্জের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর কর্মীরা প্রিন্ট ভিউ

ফাহাদ মোল্লা, 

মুন্সিগঞ্জের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে আউটসোর্সিং এর কর্মীরা বেতন পাচ্ছে না ১৫ মাস যাবত গতকাল বেলা ১২টার সময়  টঙ্গিবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরোজমিনে গিয়ে আউটসোর্সিং এর কিছু কর্মচারীদের সাথে কথা বলে জানা যায় জানা যায় আউটসোর্সিং এর কর্মচারী মোঃ শাহাবুদ্দিনের নিকট হতে জানা যায় দীর্ঘ্য ১৫ মাস যাবৎ বেতন পাচ্ছে না মুন্সিগঞ্জের ছয়টি উপজেলার আউটসোর্সিংয়ের ৯২ জন কর্মচারী মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অজয় চক্রবর্তী জানান, পরপর দুটি ঈদের একটি ঈদেও দেশের বাড়ি যেতে পারি নাই মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে খেয়ে না খেয়ে চলমান বাজারে ঊর্ধ্বগতির নজিরবিহীন পন্যের মূল্যে বছরের পর বছর চড়া সুদে দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা ঋণের বোঝা নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে এভাবে আর কতদিন, আউটসোর্সিং ওয়ার্ড বয় কর্মরত ফারুক হোসেন জানান চলতি বছরের দুই ঈদের এক ঈদে ও দেশের বাড়িতে যাওয়া সম্ভব হয়নি বাড়ীতে অসুস্থ্য বাবা মা ছোট ভাই ও বোনের জন্য কিছুই দিতে পারিনি, চলমান অর্থনৈতিক সংকট নিরশনে চরা সুদের ঋণ না নিয়ে চলার কোন পথ নেই এমতাবস্থায় ধারদেনা ও এনজিও কর্তৃক লোন নিয়ে বিদ্যুৎ বিল ও সাংসারিক অন্যান্য খরচ চালাতে হচ্ছে, সমাজের মানুষ মনে করে সরকারি চাকরি করে ভালই তো আছে, তিনি আরো জানান বিগত পাঁচ মাস পূর্বে সিভিল সার্জন স্যার আমাদেরকে আশ্বাস দিয়েছিলেন এক সপ্তার ভিতরে বেতন পেয়ে যাব কিন্তু সেটাও আশায় নৈরাস্য পাঁচ মাস অতিবাহিত হলেও চলতি মাসের নভেম্বর ও বেতন পেলাম না।

এরই মধ্যে ছুটি নিয়ে কোন আশা ভরসা না পেয়ে দুইজন চলে গেছে তাই আমাদের বাধ্য হয়ে অন্যত্র কাজ করতে হচ্ছে কোন অবস্থাতেই বেতন উত্তোলন করা সম্ভব হচ্ছে না স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাকশালায় আউটসোর্সিং এর কর্মী সাথী আক্তার জানান, দীর্ঘ্য ১৫ মাস বেতন না পেয়ে সাংসারিক খরচ ও ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া খরচ ও অন্যান্য চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না বছরের পর বছর ঋণের বোঝা নিয়ে সন্তান সন্ততিদের লেখাপড়ার খরচ মেটাতে হচ্ছে চলমান অর্থনৈতিক সংকটে দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির বাজারে নানাবিধ উপায়ে ধার কর্য্য করেই চলতে হচ্ছে অন্যান্য সময় কোথাও ধার কর্য্য না পেলে চরা সুদে এনজিও কর্তৃক লোন করতে হচ্ছে, এমতাবস্থায় ঋণের বোঝা বেড়েই চলছে গত বছর আমার মেয়ে এসএস সি তে জিপিএ পাচ পেয়েছে, এখন আমার মেয়ে কলেজে পড়ে পূর্বের তুলনায় খরচ এখন দ্বিগুণ সকল আশা ভরসা শুধুমাত্র আউটসোর্সিং এর এই চাকরি দিয়ে।

বেলা সাড়ে ১২টার সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএস ড. প্রণয় মান্না দাস এর কক্ষে গেলে তার চেয়ার খালি পাওয়া যায় অতঃপর অফিস সহায়কের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, স্যার মুন্সিগঞ্জ সদরে আছেন ওই সময় দূর আলাপনীতে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন মঞ্জুরুল আলমে সাহেবের নিকট আউটসোর্সিং এর কর্মরত বেতন সম্পর্কিত তথ্য জানতে চাইলে তিনি জানান, ১৩ থেকে ১৪ মাসের বেতন আটকা পড়েছে কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান আউটসোর্সিং এর বেতন আমার হাতে নেই এটা সম্পূর্ণ ঠিকাদারের হাতে তাদের অলস খামখেয়ালির কারণে আউটসোর্সিং এর ছয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৯২ জন কর্মচারী বেতন পাচ্ছেন না তিনি আরো জানান আউটসোর্সিং এর কর্মচারীগণ বেতন না পেয়ে দিশেহারা হয়ে ছুটি নিয়ে অন্যত্র কাজে চলে যাচ্ছে এ কারণেই স্বাস্থ্য কমপ্লেসগুলোর পরিবেশ দূষিত হচ্ছে চলছে নোংরা পরিবেশেই চিকিৎসা সেবা ঠিকাদারের হেঁয়ালি পানা ও বিভিন্ন টালবাহানায় আউটসোর্সিং এর কর্মচারীরা বেতন পাচ্ছে না ১৩ থেকে ১৪ মাস তাদের এই হেয়ালিপানায় নানা দিক দিয়ে ক্ষতিগ্রস্থের সম্মুখীন হচ্ছি আমরা।

তবে এ বিষয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার রুমান সাহেবের সাথে দুরালাপনিতে  কথা বলে জানা যায় আউটসোর্সিং এর বেতন আমাদের হাতে নেই, এটা সম্পূর্ণ সিভিল সার্জন সাহেবের হাতে।

সারাদেশ

আরও পড়ুন