• ঢাকা
  • শনিবার , ২৭ এপ্রিল ২০২৪ , সন্ধ্যা ০৭:২৭
ব্রেকিং নিউজ
হোম / অন্যান্য

পাটগ্রামে লাল মুক্তিবার্তা ব্যবহার করে ভাতা উত্তোলনকারী ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

রিপোর্টার :
পাটগ্রামে লাল মুক্তিবার্তা ব্যবহার করে ভাতা উত্তোলনকারী  ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন প্রিন্ট ভিউ

পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি:

পাটগ্রামে প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত জহির উদ্দিনের লাল মুক্তিবার্তা নম্বর ব্যবহার করে অপর এক মৃত জহির উদ্দিনের সন্তানেরা তার বাবার নামের সাথে মিল থাকায় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কৌশল অবলম্বন করে মৃত বাবাকে মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে  ভাতাসহ নিয়মিত  যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে আসছেন এবং ১০ লাখ টাকার লোন নিয়েও ৪ ভাই ও ৩ বোনও ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছে।বিষয়টি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির নজরে আসলে এলাকায় চাঞ্চল্যেকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। সেই সূত্র ধরে প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী ছামিনা খাতুন  মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করে সমাধান না পাওয়ার ফলশ্রুতিতে গত বুধবার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন প্রায়ত বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জহির উদ্দিনের স্ত্রী মোছাঃ ছামিনা খাতুন। 


সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী ছামিনা খাতুন বলেন, আমার স্বামী একজন প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা তিনি কালিগঞ্জ ভেরাবাড়ি এলাকায় থেকে ৬ নং সেক্টরের অধীনে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। যুদ্ধ শেষে তিনি কর্মসংস্থানের জন্য পাটগ্রাম রসূলগঞ্জ এলাকায় দীর্ঘদিন বসবাস করেন। পরে তিনি আমার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন । যেকারণে আমরা দুজনেই ধবলসতী এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করি। তিনি রসুলগঞ্জে দীর্ঘদিন বসবাস করার কারণে লাল মুক্তিবার্তায় তার ঠিকানা রসূলগঞ্জ উল্লেখ করা হয়। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নামের সাদৃশ্যের মিল থাকার কারণে আমার স্বামীর মুক্তিবার্তা নম্বর (০৩১৪০৩০৩৫৫) ব্যবহার করে ভিন্ন জহির উদ্দিনের সন্তানেরা তাদের বাবাকে মুক্তিযোদ্ধা বানিয়ে  নিয়মিত ভাতা উত্তোলন করছেন, যা আইনতভাবে অপরাধ ও প্রতারণার শামিল। আমি এঘটনার নিন্দা জানিয়ে প্রতিকার  চাই। আমার স্বামীর এমআইএস তালিকায় শুধুমাত্র বেসামরিক গেজেট নম্বর (১৪০৬) দিয়ে ভাতা অন্তর্ভুক্ত হয়। কিন্তু আমার স্বামীর ভারতীয় তালিকা নম্বর (৪২৯৩৭) এবং লাল মুক্তিবার্তা নম্বর (০৩১৪০৩০৩৫৫) এর উল্লেখ না থাকায় অপর জহির উদ্দিনের সন্তানেরা আমার স্বামীর মুক্তিবার্তা নম্বর ব্যবহার করে দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে সুকৌশলে ভাতা উত্তোলন সহ যাবতীয় সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন। এমন পরিস্থিতিতে আমার স্বামীর ভারতীয় তালিকার নম্বর ও লাল মুক্তিবার্তা নম্বর এমআইএস তালিকায় সংযুক্ত করে তদন্ত সাপেক্ষে নামধারী অপর ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা জহির উদ্দিনের যাবতীয় নথিপত্র বাতিলের দাবী জানিয়ে এই চক্রান্তের সাথে জড়িতদের বিচারের দাবি জানাই। সেই সাথে মুক্তাঞ্চলের প্রকৃত ইতিহাস অক্ষত রাখতে আমি নামধারী ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিলের জন্য সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাগনের সহযোগীতা ও দায়িত্বশীল ভুমিকা কামনা করছি।এছাড়াও ফেরিওয়ালা হিসাবে পরিচিত মৃত জহির উদ্দিনের ছেলেরা প্রভাবশালী হওয়ায় আমার পরিবারের সদস্যা ঝুঁকিতে রয়েছে। আমি এঘটনায় অভিযুক্ত মুক্তিযোদ্ধার ওয়ারিশগনের সদস্যদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাই। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের তেমন কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বিভিন্ন সুত্র বলছে লাল মুক্তিবার্তা ব্যবহারকারী অভিযুক্ত  মৃত জহির উদ্দিন কখনওই মুক্তিযুদ্ধের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন না, তার সন্তানরা টাকাপয়সা খরচ করে তাদের মৃত বাবাকে মুক্তিযোদ্ধা বানানোটা মোটেও ঠিক করেনি, এর প্রতিকার জরুরি।

সারাদেশ

আরও পড়ুন