• ঢাকা
  • রবিবার , ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , বিকাল ০৩:৫২
ব্রেকিং নিউজ
হোম / অন্যান্য

বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সামনে রেখে মানুষের সেবা করে যেতে চাইঃআব্দুল হান্নান আকন্দ

রিপোর্টার : নিজস্ব প্রতিবেদক
বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সামনে রেখে মানুষের সেবা করে যেতে চাইঃআব্দুল হান্নান আকন্দ প্রিন্ট ভিউ

মামুন,বগুড়াঃ

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সে আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী। আরো জানা যায় সোনাতলা থানাধীন জোড়গাছা  ইউনিয়নের নওদাবগা গ্রামে পাকিস্তানি মেলেটারিরা তাদের বাড়িঘর আগুন লাগিয়ে পুঁড়িয়ে দেয়। পিতা-মৃত ছহিম উদ্দিন আকন্দের ছেলে আব্দুর হান্নান আকন্দ।  বগুড়ার সোনাতলা থানার জোড়গাছা ইউনিয়নের নওদাবগা গ্রামের বাসিন্দা। 

তার বক্তব্য আমার পিতা আওয়ামী লীগের জন্ম লগ্ন থেকে অত্র সংগঠনের বিভিন্ন দায়িত্বশীল পদে ছিলেন এবং ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের ১৯৬৯ সালে গণভোটে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের পক্ষে ভোট প্রদান করেন এবং উক্ত ভোটের জন্য সক্রিয়ভাবে মাঠে ময়দানে কাজ করেন। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর আশ পাশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য বঙ্গবন্ধুর ডাকে স্বাধীনতার যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। শুধু তাই নয় যে পরিবারভুক্ত ৬ জন সহ গ্যাতি গোষ্ঠী মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি নিজেও মুক্তিযুদ্ধের জন্য ভারতের আসাম প্রদেশের যান  এবং অসুস্থ হওয়ার পর বাসায় ফিরে আসেন, পরে তিনি মুক্তিযুদ্ধ হতে পারেন নাই এবং তিনি সুস্থ হওয়ার পর অনেক হিন্দু পরিবারকে নিরাপদে রাখার জন্য তাদের আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয়দান করেন। তিনি এলাকার তরুণ বয়সের ছেলেদের জন্য ভারতের ট্রেনিং নেয়ার জন্য নৌকাযোগে ভারতে আসাম প্রদেশে পাঠান। যুদ্ধ চলাকালীন মুক্তিযোদ্ধাদের কে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা তিনি করেন এবং উক্ত বিষয়ে জানতে পেরে মেলেটারীরা আমাদের বাড়িঘর আগুন দ্বারা পুড়িয়ে দেয়। সেই সাথে আমার দাদার পায়ে গুলি লাগে। প্রায় তিন মাস পরে আমার দাদা মৃত্যুবরণ করেন। যুদ্ধে পশ্চিম পাকিস্তানিরা যখন পরাজিত হওয়ার পরে ভেলুর পাড়া গ্রামের মোঃ হাসান সরকার এমপি ছিলেন তখন রিলিফ কমিটি গঠিত হয়েছিল। 


প্রত্যেকটি গ্রামে একটি করে কমিটি গঠন করেন এবং তাদের মধ্যেই ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ১৯৭১ সালের পর থেকে বর্তমান পর্যন্ত জড়গাছা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীর প্রত্যক্ষ ব্যালট পেপারের দ্বারা ভোটের মাধ্যমে তিনি তা তিনি বারবার সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ব্যয় করেন এবং অংশগ্রহণ করেন।

এমতাবস্থায় আমার পিতা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিতেন এবং আমার পিতার জন্ম লগ্ন থেকে মধ্যবর্তী পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করেন। 

২০০২ সালে জোড়গাছা ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন বীর মুক্তিযুদ্ধা ফজলুল বারী,পরবর্তীতে ছিলেন আলমগীর হোসেন,আব্দুল মান্নান, শাহিন তালুকদার, জালালউদ্দিন সরকার। 

 বিএনপির শাসনামলে আমাদের পরিবারের উপর অনেক অত্যাচার ও নির্যাতন শিকার হয়ে আছি আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ছাড়ি নাই। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে আমরা অন্তরের অন্তস্থল থেকে সম্মান করেই চলছি। ২০১২ সালে আব্দুল মান্নান উক্ত ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সভাপতি ছিলেন এবং মোঃ আব্দুল হান্নান উক্ত জোড়গাছা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।২০১৫ সালে জিন্নাহ প্রামানিক উক্ত ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সভাপতি ছিলেন এবং হান্নান উক্তে  ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আবার দায়িত্ব পালন করেছেন।২০১৮ সালে জালাল সরকার উক্ত ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সভাপতি ছিলেন এবং আব্দুল হান্নান জোড়গাছা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আবারও নির্বাচিত হন। অদ্যবর্ধি পর্যন্ত আব্দুল হান্নান উক্ত জোড়গাছা ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে দায়িত্বরত অবস্থা আছেন।

সারাদেশ

আরও পড়ুন