• ঢাকা
  • রবিবার , ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , দুপুর ০১:০১
ব্রেকিং নিউজ
হোম / অন্যান্য

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বারাশিয়া নদীতে বাঁধের মাধ্যমে মাছ চাষ:

রিপোর্টার : আব্দুস সালাম মোল্লা
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বারাশিয়া নদীতে বাঁধের মাধ্যমে মাছ চাষ: প্রিন্ট ভিউ

স্টাফ রিপোর্টার, আব্দুস সালাম মোল্লাঃ

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের বান্দুগ্রাম এলাকা ঘেঁষে বয়ে যাওয়া বারাসিয়া নদীর মাঝখানে আড়াআড়ি বাঁশের বাঁধ দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করে চলছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। মৎস্য আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মা-মাছ ও পোনাসহ সব ধরনের মাছ নির্বিচারে শিকার করে আসছে প্রভাবশালীরা।

মৎস্য আইনে স্পষ্টভাবে বলা আছে ১৯৫০ মৎস্য সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী নদীতে আড়াআড়িভাবে বাঁধ দেওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

নিয়ম অনুসারে, প্রবহমান কোনো জলাশয়ে কোনো ধরনের বাঁধ, স্থায়ী অবকাঠামো বা অন্য কোনোভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না। জলাশয়ে পানির প্রবাহ ও মাছের চলাচল বাঁধ দিয়ে বা অন্য কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত করলে শাস্তির বিধান রয়েছে।

নদীর মাঝখানে স্থায়ীভাবে কোনো বেড়া বা বাঁধ দেয়া যাবে না। এতে করে দেশীয় ছোট মাছের বংশ বিস্তার হয় না। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের বাঁধ দেয়ার চেষ্টা কেউ না করে, সে ব্যাপারেও পদক্ষেপ নেওয়া উচিত মৎস্য  অধিদপ্তরের।

সরেজমিনে দেখা যায়, বারাসিয়া নদীর এক পাশে সদর ইউনিয়ন, অপর পাশে ময়না ইউনিয়ন। নদীর দুইপাড়কে সংযুক্ত করে বাঁশ পুঁতে বেড়া দেওয়া বেড়ার সঙ্গে সুতি জাল দিয়ে আটকিয়ে মাছ চাষ করছে। এতে দেশি মাছের প্রজনন ধ্বংস হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, একই গ্রামে দক্ষিণপাড়ার মো. বাকু শেখের ছেলে ইমান শেখ, আব্দুল হক শেখের ছেলে ওমর শেখ, সোতাশী গ্রামের মাজেদ বিশ্বাসের ছেলে সুমন বিশ্বাস, মুন্নু বিশ্বাসের ছেলে আমিনুর বিশ্বাসসহ স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু লোক নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার করছেন।  নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ আহরণ করার কারণে অনেক জেলে ক্ষোভ জানিয়েছেন। স্থানীয়রা আরো জানান, যারা বাঁধ দিয়েছেন, তারা এলাকায় প্রভাশালী। তাই তাদের শত নিষেধের পরও কোনো কাজ হচ্ছে না।


আইন অমান্য করে নদীতে বাঁধ দেয়া সঠিক কিনা জানতে চাইলে বাঁধ প্রদানকারী সুমন বিশ্বাস বলেন, ময়লা পানি ঠেকানোর জন্য নদীতে বাঁধ দিয়েছি। এখানে কিছু টাকা খরচ হয়েছে। তাই সেখানে কিছু সিলভার কার্প,তেলাপিয়া মাছ ছেড়ে চাষ করছি। অন্যদিকে ইমান শেখের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকারের বিষয়ে জানতে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো.জসীম উদ্দিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, বিষয়টি আমি দেখছি।

বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মেহেদী হাসান জানান, বিষয়টি আমার চোখে পড়েনি। আমি বিষয়টি দেখার জন্য মৎস্য কর্মকর্তাকে বলবো।

এলাকাবাসী ও সুশীল সমাজ আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের নিকট জোর দাবি করছে।

সারাদেশ

আইন আদালত

আরও পড়ুন