• ঢাকা
  • রবিবার , ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , বিকাল ০৫:১৫
ব্রেকিং নিউজ
হোম / জাতীয়

বগুড়ায় ওসি-কে আসামী করার দাবিতে বাদীর অবস্থান কর্মসূচী।

রিপোর্টার : নিজস্ব প্রতিবেদক
বগুড়ায় ওসি-কে আসামী করার দাবিতে বাদীর অবস্থান কর্মসূচী। প্রিন্ট ভিউ

নিউজ ডেস্কঃ

বগুড়ায় আলোচিত স্কুল শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার আলামত নষ্টকারী ধুনট থানার সাবেক ওসি কৃপা সিন্ধু বালাকে মামলার মূল চার্জশিট আসামি করার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচী পালন করছেন মামলার বাদীনি জোসনা খাতুন। 

৩০ শে সেপ্টেম্বর (শনিবার) সকাল ১১ টায় শহরের সাতমাথা (জেলা স্কুল সংলগ্ন) এ অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন।

অবস্থান কর্মসূচী পালন করা মামলার বাদীনি জোসনা খাতুন জানান, আমরা স্বামী স্ত্রী দুজনেই কলেজ শিক্ষক। চাকরি করার কারণে আমাদের অনুপস্থিতিতে আমার ভাড়াটিয়া মোঃ মুরাদুজ্জামান আমার স্কুল পড়ুয়া দশম শ্রেণীর মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করিলে আমি বিগত ২২ সালের ১২ ই মে ধুনট থানায় মামলা দায়ের করি। ধনুট থানার সাবেক ওসি কৃপা সিন্ধু বালা মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে ওই দিনই অর্থাৎ ২২ সালের ১২ ই মে ভিডিও ও মোবাইলসহ আসামিকে গ্রেফতার করেন। আমিসহ মোট চারজন উদ্ধারকৃত ভিডিও দেখেছিলাম। ওসি কৃপা সিন্ধু বালা সঠিকভাবে  চার্জশিট দেওয়ার জন্য আমার নিকট থেকে ৫/৭ লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন। কৃপা সিন্ধু বালা নিজ হাতে আমার নিকট থেকে ২০ হাজার টাকা গ্রহণ করেছিলেন। এছাড়া কৃপা সিন্ধু বালার সোর্স সেলিম রেজার মাধ্যমে আমি এবং আমার স্বামী উভয়ের নিকট থেকে আরও  ৮২ হাজার টাকাসহ মোট ১০২০০০ টাকা গ্রহণ করেছিলেন। আমি এক যোগে ৫/৭  লাখ টাকা দিতে ব্যর্থ হলে কৃপা সিন্দু বালা আমার প্রতি খুবই মন খারাপ করেন। বিগত ২২ সালের ১৮ ই মে আসামিকে রিমান্ডে আনিয়া কৃপা সিন্ধু বালা ওই রাতেই আসামিপক্ষকে নিয়ে পিজ্জা কর্নারে গোপন বৈঠক করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আসামিকে রেহাই দেয়ার জন্য উদ্ধারকৃত ভিডিও গায়েব ও উদ্ধারকৃত ফোনে মামলা সংক্রান্ত সকল ভিডিও স্থায়ীভাবে ডিলিট করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন। রিমান্ডের রাতে আরেকটা ফোন উদ্ধার হলে উদ্ধারকৃত ফোন দুটি স্থায়ীভাবে ডিলিট করার জন্য আদমদিঘী থানায় কর্মরত এসআই প্রদীপ কুমার নিকট পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল। গোপন ভাবে বিষয়টি ধুনট থানা থেকে আমাকে জানাইলে আমি জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের মাধ্যমে মামলা পিবিআইতে স্থানান্তর করি। আমার অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ পূর্বক বিভাগীয় ও ফৌজদারি আইনের বিভিন্ন ধারায় কৃপা সিন্ধু বালা কে দোষী সাব্যস্ত করিয়া পিবিআই, বগুড়া বিগত ২৩ সালের ৩০ মার্চ মহা-পুলিশ পরিদর্শক ও পিবিআই হেডকোয়ার্টার্সে প্রতিবেদন দাখিল করিয়াছিলেন। 

উক্ত  প্রতিবেদনের আলোকে মামলার মূল চার্জশিটে কৃপা সিন্ধু বালাকে  আসামি করার জন্য আমি বিগত ২৩ সালের ৩০ এপ্রিল মহা-পুলিশ পরিদর্শক ও পিবিআই হেডকোয়ার্টার্সে লিখিত আবেদন করিয়াছিলাম। মহাপুলিশ পরিদর্শক মহোদয়ের দপ্তরে অভ্যন্তরীণ তদন্তে পিবিআই, বগুড়া কর্তৃক দাখিলকৃত প্রতিবেদনের সত্যতা পেয়েছেন বলে মহাপুলিশ পরিদর্শকের দপ্তর থেকে whatsapp বার্তায় আমাকে জানানো হয়েছিল। অপরদিকে, পিবিআই হেডকোয়ার্টার্সে উদ্ধারকৃত ফোন দুটি বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে বারবার ফরেনসিক করা হচ্ছিল। 

এমতাবস্থায় মে মাসের মাঝামাঝিতে কৃপা সিন্ধু বালার বিশ্বস্ত সোর্সের মাধ্যমে আমার কাছে তথ্য আসে পিবিআই প্রধান বনোজ কুমার মজুমদার মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কৃপা সিন্ধু বালাকে মামলা থেকে রেহাই দেয়ার পাঁয়তারা করছেন। কৃপা সিন্ধু বালার সোর্স আমাকে জানিয়েছিলেন যে, ফোন দুটি লোক দেখানো ফরেনসিক করা হচ্ছে। বনোজ কুমার মজুমদার কৃপা সিন্ধু বালাকে এ মামলায় আসামি করবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কৃপা সিন্ধু বালা সম্পর্কে বনোজ কুমার মজুমদার যেকোনো গোপন তথ্য আইজিপি কে জানানোর চেষ্টা করেছি। 


বনোজ কুমার মজুমদার ও কৃপা সিন্ধু বালা সম্পর্কে যে সকল গোপন তথ্য আমি পেয়েছিলাম, সেগুলো নিম্নোক্ত তারিখ সমূহে আইজিপি অবগত করেছিলাম: (১)  গত ২১মে  ভয়েস মেসেজ এর মাধ্যমে, (২) গত ৭ জুলাই হোয়াটসঅ্যাপ ম্যাসেজের মাধ্যমে, (৩)গত  ১০ জুলাই আইজিপি মহোদয়ের সম্মুখে উপস্থিত হয়ে, (৪) গত ৮ সেপ্টেম্বর পিবিআই, বগুড়া এর এসপি এহসানুল কবির এর মাধ্যমে অবগত হয়ে গত ০৯ সেপ্টেম্বর হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায়, এবং

(৫) গত ১৩ সেপ্টেম্বর লিখিত আবেদনের মাধ্যমে জানিয়েছিলাম।

উপরোক্ত তারিখ সমূহে অভিযোগ করার পরেও আইজিপি বনোজ কুমার মজুমদারের বিরুদ্ধে আদৌ  কোন ব্যবস্থা নিয়েছেন কিনা আমার তাহা জানা নেই। কোন উপায়ান্তর না পেয়ে বিচারের জন্য আমি আজ রাস্তায় নেমেছি। আপনাদের মাধ্যমে সরকার প্রধানকে জানাতে চাই আমি বিচার চেয়ে ভুল করেছি। রক্ষকই যখন ভক্ষক তখন আমি যাব কোথায়? আমি আজ বড়ই অসহায়। আমাকে হয় বিচার দিন, না হয় গুলি করে মেরে ফেলুন।

জাতীয়

আইন আদালত

আরও পড়ুন