• ঢাকা
  • রবিবার , ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , রাত ০৮:১৬
ব্রেকিং নিউজ
হোম / অন্যান্য

কুড়িগ্রামে আশাতীত সূর্যমুখী চাষে সাফল্যের সম্ভাবনা

রিপোর্টার : নিজস্ব প্রতিবেদক
কুড়িগ্রামে আশাতীত সূর্যমুখী চাষে সাফল্যের সম্ভাবনা প্রিন্ট ভিউ

আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:

সরকারের প্রণোদনা কর্মসূচি ও কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণের মাধ্যমে রংপুর অঞ্চলে সূর্যমুখী চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি মৌসুমে রংপুর অঞ্চলে ২২১ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী আবাদ হয়েছে। যা গত মৌসুমের চেয়ে ২৬ হেক্টর বেশি। এবার রংপুর অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি সূর্যমুখী আবাদ হয়েছে কুড়িগ্রাম জেলায়।

চলতি মৌসুমে কুড়িগ্রাম জেলায় ১০৮ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী আবাদ হয়েছে। এ ছাড়া রংপুরে ৪৩ হেক্টর, গাইবান্ধায় ৬৯ হেক্টর ও নীলফামারীতে এক হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী আবাদ করা হয়েছে।

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা সদর ইউনিয়নের মকিমপুরের সূর্যমূখী চাষি রানা মিয়া, আব্দুল খালেক, কিশোরগাড়ীর শাহিনুর রহমান, বড়দরগাহ ইউনিয়নের শাহাপাড়া হাজিপুরের আব্দুল ওয়াহেদ, শফিকুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক জানান, নিজেরা ১ বিঘা করে জমিতে সূর্যমুখী ফসল চাষ করেছি। বর্তমানের বাজারদর অনুপাতে সূর্যমুখী ফসল চাষে ভাল মুনাফার সম্ভাবনাও দেখছেন তারা। ৯০-১১০ দিনের মধ্যে ফসল ঘরে তোলা যায়। বাজারে দাম ভাল থাকায় লাভজনক ফসল হয়ে উঠেছে সূর্যমুখী। আর ক’দিন পরেই কৃষকরা এই ফসল ঘরে তুলতে পারবেন।

সূর্যমুখীর বীজে লিনোলিক এসিড ও উন্নতমানের তৈল থাকে। হৃদরোগীদের জন্য সূর্যমুখীর তেল খুবই উপকারী। এ ছাড়াও সূর্যমুখীর তেলের রয়েছে নানামুখী ওষুধি গুণ। সূর্যমুখীর খৈল গরু ও মহিষের উৎকৃষ্টমানের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। সূর্যমুখীর গাছ ও পুষ্পস্তবক জ্বালানি হিসাবে ব্যবহৃত হয়। সূর্যমুখী সাধারণত সব মাটিতেই চাষ করা যায়। তবে দো-আঁশ মাটি সূর্যমুখী চাষের জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ওবায়দুর রহমান মন্ডল বলেন, আগের চেয়ে রংপুর অঞ্চলে সূর্য়মুখীর চাষ বেড়েছে। কৃষকরা বাজারেও ভাল দাম পাচ্ছেন।

সারাদেশ

সফলতার গল্প

আরও পড়ুন