• ঢাকা
  • রবিবার , ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , বিকাল ০৫:১১
ব্রেকিং নিউজ
হোম / জাতীয়

ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে প্রশাসনের নিরবতায় সরকারি সম্পদ বেদখল।

রিপোর্টার : আব্দুস সালাম মোল্লা
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে প্রশাসনের নিরবতায় সরকারি সম্পদ বেদখল। প্রিন্ট ভিউ

আব্দুস সালাম মোল্লা স্টাফ রিপোর্ট :

ফরিদপুর জেলা চরভদ্রাসন উপজেলা চর হাজিগঞ্জ সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয় হাজিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের জায়গা দখল ও ভবনে পিলার ভাঙ্গার অভিযোগ উঠেছে  প্রভাবশালী একটি পরিবারের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে কয়েকটি পত্রিকা লেখালেখি হলে প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হয়নি উপজেলা প্রশাসনের,অথচ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব কাউসার মোল্লা  কড়া প্রতিবাদ করলেও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেদি মোরশদের সুদৃষ্টি আসেনি। 

চর হাজিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক রহমত আলী বাদীহয়েস্কুলের জায়গা রক্ষার্থে চরভদ্রাসন থানা একটি অভিযোগ দায়ের করলেও প্রভাবশালী মহলটি চর হাজিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক রহমত আলী বাড়িতেপ্রভাবশালী মহলটি প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে আসছে এতে প্রধান শিক্ষক রহমাতআলী চরম নিরাপত্তাহীনতার প্রশাসনের অসহযোগীতা।এতে সুশীল সমাজ  প্রশাসনের কর্মকান্ডের উপর প্রশ্ন তুলছে প্রশাসনের  নিরপেক্ষতা। 

লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা তারা ডাক্তারের ছেলে আব্দুল কাদের সহ ওই পরিবারেরআরও১৫/১৬জন মিলে চর হাজিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়  চরহাজিগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণের তোর জোড়শুরু করছে।   বিদ্যালয় এর পুরান ভুবনের দুটি পিলার ভেঙ্গে জোড়করে ২১ শতাংশ জায়গা দখল করে মার্কেট তৈরি করছে।নির্মিতব্য এ মার্কেটে  উপজেলা পরিষদেরডাকবাংলো রয়েছে।বিদ্যালয়ের চারতলা ফাউন্ডেশন একতলা ভবনের দুটি পিলার বিদ্যমান রয়েছে।এব্যাপারে প্রধান শিক্ষক চরভদ্রাসন থানা একটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের দায়েরএর পরিপ্রেক্ষিতে  তারা ডাক্তার ছেলেআব্দুল কাদের ওআরও১৫/১৬জন প্রধান শিক্ষক রহমত আলীকে  প্রাণনাসেরহুমকি দিয়ে অভিযোগ প্রত্যাহার  করান তারা ডাক্তারের ছেলে আব্দুল কাদের সহ ,১৫/১৬জনএতেপ্রশাসন কোন ভূমিকা না নেওয়ায় চর হাজিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় চরহাজিগঞ্জ  সরকারীপ্রাথমিক বিদ্যালয়ের২১ শতাংশ জায়গা  বেদখল হয়ে পড়ছে।

দখলদারদের পূর্বপুরুষ ২৮ শতাংশ জমির মালিক এর মধ্যেও ১৯৬২সালেপনের শতাংশ  জায়গা সরকার বাহাদুর একোয়ার করে,বাকি১৩শতাংশ জায়গা চর হাজিগঞ্জ জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়ের নিকট। এবং১৩শতাংশসহ৩৩শতাংশজায়গা চরহাজীগঞ্জ সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মানে রেজিস্ট্রি করে দেয়।

দখলদারদের দাবি  সরকার বাহাদুর একোয়ারকৃত ১৫ শতাংশ জায়গা তাদেরকে ফেরত দিয়েছে।অথচঐ১৫শতাংশজায়গা বাংলাদেশ কৃষি অফিসের  নামে ৮শতাংশ রেকড'এবংতাদের একটি একতলা ভবন ছিল২০০১সালের ভাঙ্গনের ভুবনটি নিলামে বিক্রি করে দেয়আর৭শতাংশ জমির চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের একটি এক তলা ভবনের ডাকবাংলো এখনো বিদ্যমান। 

দখলদারা২০১২ সালে এব্যপারেএকটি সত্তর মামলা করলে ২০১৯ সালে আদালতে রায়কোন জমি পায়না। ২০১৯সালে দখলদাররাআবারও তারা আপিল করে,আপিলে চর হাজীগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়  ওচরহাজীগঞ্জ জুনিয়র উচছ বিদ্যালয়কে বিবাদী করা হয়নি। ওবিদ্যালয়েরগাফিলতিরকারনেএকতরফা ভাবে২১ শতাংশেররায় পায়। রায়ের বলা হয়েছে৬০ কম'দিবসের মধ্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষবাদী পক্ষের  জমির বুঝি দিতে ব্যত্যয় হলে ওকোট' জমি বুঝিয়ে দিবে।

বাদীপক্ষ ও বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ কোর্টের ওয়াক্কা  না করে ২১শতাংশ জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণ করেই চলছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জেলা কৃষি কর্মকর্তাকে নিয়েজেলা প্রশাসকের নিকটহস্তক্ষেপে   কৃষি বিভাগের জমি  দখল থেকে বিরত রয়েছ।  এ ব্যাপারে চর ভদ্রাসনমাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দেওয়ান জাহাঙ্গীর কর্মকর্তারগাফিলতিওপ্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিয়ামতুল্লাহ  অনুপস্থিতিতে  তারদায়িত্বে থাকা শিক্ষা কর্মকর্তা জামাল সাহেবের কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় এবংউপজেলানির্বাহী অফিসারের মো মেহেদী মোরশেদ এ-র ত্রিমাত্রিক সমন্বয়হীন তার অভাবে,  সরকারি সম্পদ  বেদখল। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেদী মোরশেদসাথে কথা বলবে তিনি প্রত্যেক ডিপার্টমেন্টের উদ্যোগে নিতে বলেন,প্রধান শিক্ষকের   নিরাপত্তাএবং কোর্টের নির্দেশের বাহিরেকেন কাজ করছে এবংকাজ বন্ধ রাখার অনুরোধ করলে  এতে কোন উওর দেয়নি। এতেকরেই সরকারি সম্পদ বেদখল হয়ে পড়ছে।

সুশীল সমাজ সরকারি সম্পদ উদ্ধারপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেজোরালো দাবি জানাচ্ছে।

জাতীয়

স্কুল

আরও পড়ুন