নবদিগন্ত ডেস্কঃ
বগুড়ার সোনাতলায় যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনর মহা উৎসব চলছে। এতে আশেপাশের এলাকার, ব্রিজ, কালভার্ট, রাস্তা, বাধে বসবাসরত ঘরবাড়ি সহ এলাকার স্কুল, মাদ্রাসা ও ঐতিহাসিক মসজিদ যেন হুমকির মুখে।
উপজেলার যমুনা নদী থেকে প্রশাসনের নীরবতায় অবৈধভাবে বালুদস্যুরা রাজার রাজত্ব চালাচ্ছেন বছরের পর বছর! প্রশাসনের নাকের ডগায় বালু উত্তোলন করা হলেও প্রভাবশালী মহলের সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে বালু উত্তোলন করা হলেও তা যেন দেখার কেউও নেই! সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার চারালকান্দি হয়ে পাকুল্লা মসজিদ পর্যন্ত যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে আসছে। মাটির রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে গেলেও সাধারণ মানুষের ভোগান্তি মেনে নেয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। অতিরিক্ত ওজনে সড়কের বেহাল দশায় সাধারণ মানুষ চলাচলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
বালুদস্যুদের কাছে তারা যেন নিরুপায়। আশা ভরসার প্রতীক প্রশাসনের কাছেও যখন সাধারণ মানুষ বিচার পায় না তখন নিয়তি বলেই মেনে নিয়েছেন ওই এলাকার ভুক্তভোগীরা।
অবৈধ এই বালু ব্যবসায়ীরা হলো পাকুল্লার মৃত- সেকেন্দার আলী মোল্লার ছেলে মোঃ বেলাল হোসেন মোল্লা ও মোকছেদুল আলী মোল্লার ছেলে মোঃ ওয়াহেদুল মোল্লা, আফসার আলী মোল্লা, আমছার আলী মোল্লা, জেলাল উদ্দিন মোল্লা, সহ আরো দশ -বারো জন অবৈধ বালু ব্যাসার সঙ্গে জড়িত আছে।এরা এলাকার প্রভাবশালী মহল। সাধারণ মানুষ যে কারণে কোনো প্রতিকার চাইতে সাহস পান না । অতিষ্ট এলাকাবাসীর দাবি অবিলম্বে বালু ব্যবসা বন্ধ করে রাস্তাঘাটের দুরবস্থা নিরসনে প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিক।
এর আগে প্রশাসন অভিযান চালিয়ে একটি বালু ভর্তি ট্রাক জব্দ করলেও তারা এখনো সতর্ক হয়নি।
উল্লেখ্য,বালু ব্যাবসায়ীরা প্রশাসন এবং সাংবাদিকদের চোখ ফাঁকি দিয়ে কৌশলে দিন -রাত বালু উত্তোলন করে চলছে। বোঝার যেন উপায় থাকেনা।
এবিষয়ে সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, ঐসব এলাকায় আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।
এ বিষয়ে সোনাতলা উপজেলা ভূমি সহকারী কমিশনার প্রতিক মন্ডল এর মুঠোফোনে ফোন করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।