• ঢাকা
  • সোমবার , ৬ মে ২০২৪ , বিকাল ০৫:৫২
ব্রেকিং নিউজ
হোম / অন্যান্য

ভূঞাপুরে সোনালী ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ এলাকায় মাইকিং

রিপোর্টার : মোহাম্মদ সোহেল
ভূঞাপুরে সোনালী ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ এলাকায় মাইকিং প্রিন্ট ভিউ

মোহাম্মদ সোহেল (ক্রাইম  রিপোর্টার) টাঙ্গাইল: 

 টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সোনালী ব্যাংক গোবিন্দাসী শাখায় গ্রাহকের সঞ্চয়পত্রের টাকা আত্নসাতের  অভিযোগ উঠেছে সাবেক ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের মাইকিং করায় ব্যাংকে পুলিশ মোতারেন করা হয়। পরে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ বেলাল হোসেনের কাছে প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ করে।

গতকাল সোমবার (২০নভেম্বর ) দুপুরে সোনালী ব্যাংকের অর্ধশতাধিক গ্রাহক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেন। পরে উপজেলা কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে ভুক্তভোগীরা। এতে নেতৃত্ব দেন গোবিন্দাসী ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল হোসেন চকদার। এর আগে ১৯ নভেম্বর গোবিন্দাসী এলাকায় ভুক্তভোগীরা এক  হওয়ার জন্য এলাকায় মাইকিং করে। এদিকে ভুক্তভোগীদের মাইকে ঘোষনা দিয়ে একত্রিত হওয়ার সংবাদ পেয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ব্যাংকের নিরাপত্তার জন্য গোবিন্দাসী পুলিশ ফাঁড়ির নিকট নিরাপত্তার চায়। পরে ব্যাংকের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করে। জানা যায় অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম ম্যানেজার হিসেবে সোনালী ব্যাংক গোবিন্দাসী শাখায় ২০২০ সালে যোগদান করে। এরপর দীর্ঘ ৩ বছর ২ মাস সেখানে কর্মরত ছিলেন তিনি। এই দীর্ঘ সময়ে তথ্য প্রযক্তিতে অভিজ্ঞ শহিদুল ইসলাম কৌশলে ১৩০ জনের সঞ্চয়পত্রের টাকা লুজ চেকের ( জরুরী উত্তোলনের জন্য একক পাতা) মাধ্যামে অন্য এ্যাকান্টে ৫ কোটি ১১ লক্ষ টাকা সরিয়ে নেন। এবং উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের হত দরিদ্র মানুষের ভাতা ৬ লক্ষ ৮১ টাকা গায়েব করেছেন। ভুক্তভোগীরা অভিযুক্ত ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম তার বড় ভাই মহির উদ্দিনের তালুকদার এগ্রো ফার্ম কালিহাতী উপজেলার আদাবড়ী গ্রামের খালেদা বেগম ও তার বন্ধুদের এ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে টাকা 

আত্মসাৎ করেন। টাকা আত্নসাতের অপরাধে ইতোমধ্যেই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাকে বরখাস্ত করেছে। এদিকে ভূক্তভোগী গ্রাহকরা বলেছেন দীর্গদিন হলো ব্যাংকের তৎকালীন ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম ৫ কোটির বেশি টাকা আত্নসাত করেছেন। এখনও কেউ টাকা ফেরত পাননি । ওই ম্যানেজারের বরখাস্ত ছাড়া আর কোনো শাস্তি হয়নি। তিনি এখনও প্রকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা টাকা ফেরত চাই। গোবন্দিাসী শাখার সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার ফিরোজ আহম্মেদ জানান, এলাকায় মাইকিংয়ের ঘটনায় ব্যাংকের নিরাপত্তায় পুলিশের সহোযোগীতা চাওয়া হয়। পরে ব্যাংকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। গোবিন্দাসী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ দুলাল হোসেন চকদার বলেন, টাকা না পেয়ে গ্রাহকরা হতাশ। সব গ্রাহক গিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি ব্যাবস্থা নেওয়ার আশ্বা দিয়েছেন।   উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: বেলাল হোসেন বলেন, গ্রাহকরা তাদের সঞ্চয়প্রত্রের টাকা আত্নসাতের বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখব।

আইন আদালত

আরও পড়ুন