• ঢাকা
  • মঙ্গলবার , ৭ মে ২০২৪ , রাত ০১:২৮
ব্রেকিং নিউজ
হোম / অন্যান্য

সোনাতলায় যত্রতত্র পেট্রোল ও এলপিগ্যাস বিক্রি, কতৃপক্ষের নেই নজরদারি

রিপোর্টার : নিজস্ব প্রতিবেদক
সোনাতলায় যত্রতত্র পেট্রোল ও এলপিগ্যাস বিক্রি, কতৃপক্ষের নেই নজরদারি প্রিন্ট ভিউ

মামুন,বগুড়াঃ

নীতিমালা লঙ্ঘন করে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে লিকুইড পেট্রোলিয়াম (এলপি) গ্যাসের সিলিন্ডার  ও পেট্রোল। অনুমোদিত প্যাট্রোল পাম্প ছাড়া পেট্রোলজাতীয় দাহ্য পদার্থ বিক্রির বিধান নেই। কিন্তু তা উপেক্ষা করে রাস্তা-ঘাট,হাট-বাজার, এলাকা ও বিভিন্ন সড়কের মোড়ে এলপি গ্যাস সিলিন্ডারের পাশাপাশি জারিকেন ও বোতলে পেট্রোলসহ দাহ্য পদার্থ বিক্রি করা হচ্ছে। গত ১২ মার্চ ধুনটের সোনাহাটা বাজার এলাকায় এ ধরনের একটি জ্বালানি তেলর দোকানে অগ্নিকান্ডে সোয়া কোটি টাকা ক্ষতির পাশাপাশি দগ্ধ এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও বগুড়ার বিভিন্ন উপজেলায় এ ধরনের ক্ষতির দৃষ্টান্ত রয়েছে। সরকারিবিধি মোতাবেক গ্যাস সিলিন্ডার, জ্বালানি তেল বিক্রির জন্য পাকা মেঝেসহ আধপাকা ঘর, ফায়ারসার্ভিসের অগ্নিনির্বাপন সক্ষমতা সংক্রান্ত লাইসেন্সসহ অগ্নিনির্বাপণ সিলিন্ডার এবং মজবুত ও ঝুঁকিমুক্ত সংরক্ষণাগার থাকতে হবে। একজন ব্যাবসায়ী ওই সব শর্ত পূরণ করলেই কেবলমাত্র বিস্ফোরকদ্রব্য বিক্রির নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। বিস্ফোরক দ্রব্য বিক্রির লাইসেন্স ছাড়া কোনো দোকানে দাহ্য পদার্থ বিক্রি করা যাবেনা। কিন্তু এই আইনের তোয়াক্কা না করছেন না স্থানীয় ব্যাবসায়ীরা। আইনের প্রয়োগ না থাকায় দিন দিন এই ব্যাবসা বেড়েই চলেছে। কোমল পানীয়র পুরনো বোতলে ভরে পেট্রোল বিক্রি করা হচ্ছে। এটি খুব বিপদজনক। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার সদরসহ বালুয়াহাট, কর্পূরবাজা, কলেজ স্টেশন, চরপাড়া বাজার, পাকুল্লা বাজার, হরিখালী বাজার এবং মধুপুর বাজার এলাকায় তুলার দোকান, ওষুধের দোকান, মুদির দোকান ও ফলের দোকান সহ বিভিন্ন দোকানে এলপি গ্যাসের সিলিন্ডার বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সড়কের মোড়ে এক লিটার অথবা আধা লিটার ওজনের প্লাস্টিকের বোতলে পেট্রোল ভরে পসরা সাজিয়ে রাখা হয়েছে। যেকেউ ইচ্ছা করলেই বোতলভর্তি পেট্রোল কিনতে পারছেন। উপজেলার চরপাড়া বাজারের একজন গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমার ছোট ব্যাবসায়ী।সারাদিনে ২/৩ টা সিলিন্ডার বিক্রি করি। এ আইন সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারনা নেই।লোকজনের চাহিদা থাকায় ডিলারদের কাছ থেকে গ্যাসের সিলিন্ডার নিয়ে এসে বিক্রি করি।

এবিষয়ে সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া আফসার সায়মা বলেন,দাহ্য পদার্থ বিক্রির বিধিমালা আছে। যত্রতত্র বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। এ ধরনের কর্মকান্ডে জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

সারাদেশ

আইন আদালত

বাংলাদেশ

ভিন্ন স্বাদের খবর

আরও পড়ুন