- ঢাকা
- সোমবার , ৬ মে ২০২৪ , সন্ধ্যা ০৬:৩০
প্রিন্ট ভিউ
স্টাফ রিপোর্টারঃ ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসনে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফয়সল বিন করিম এর বিরুদ্ধে নিরপেক্ষতা ও বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে।
জানাগেছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফয়সল বিন করিম এবছর উপজেলা পরিষদ চত্বরের জাঁকজমকপূর্ণভাবে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শুভেচ্ছা বিনিমিয় ও মধ্যহ্ন ভোজের আয়োজন করেন।
এতে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, চেয়ারম্যানবৃন্দ, স্থানীয় গন্যমান্য, সমাজসেবক , শিক্ষক ও নামমাত্র প্রশাসনের তোষামোদি সাংবাদিক অংশ গ্রহন করেন।
কিন্তু এঘটনায় উপজেলার স্থানীয় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকেদদের মধ্যে প্রশাসনের নিরপেক্ষতা ও বৈষম্যের প্রশ্ন উঠেছে। সাংবাদিকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল বিন করিমের নিরপেক্ষতার।
উপজেলার সিনিয়র সাংবাদিক দৈনিক সমকালের উপজেলা প্রতিনিধি ও উপজেলা প্রেসক্লাব এর সভাপতি মোঃ আবুল কালাম, দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি মনির হোসেন পিন্টু ও দৈনিক প্রতিদিনের উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ সাজ্জাদ হোসেন সাজু জানান, ঈদুল ফেতরকে ঘিরে উপজেলা প্রশাসন এবছর এক ব্যাতিক্রম ঈদ আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছেন। এটি নিঃসন্দেহে প্রশাসনের ভালো একটি উদ্যোগ।
কিন্তু পাশাপাশি এঘটনায় উপজেলা প্রশাসন কিছুটা প্রশ্নবিদ্ধও হয়েছেন। কেননা এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে উপজেলা প্রশাসনের নিরপেক্ষতা ও বৈষম্যে লক্ষ করা গেছে।
বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক আব্দুস সালাম মোল্লা বলেন, চরভদ্রাসন উপজেলায় ৪/৫ টি সাংবাদিক সংগঠন রয়েছে।নামমাত্র একটি সংগঠক কে ঈদ ভোজন বিলাসী অংশ নিয়েছে।আর তিন চারটি সংগঠনের সকল সদস্য মিলে উপজেলায় প্রায় ১৮/২০ জন গনমাধ্যমকর্মী রয়েছেন।নিয়মিত একটিভ কর্মরত আছে১০-১২ জন।১০-১২ জন ই এদের ভেতরে অনেকেই আছেন যারা নিয়মিত উপজেলার বিভিন্ন প্রোগ্রামের নিউজের তথ্য সংগ্রহ করে তা আবার গনমাধ্যমে প্রচার করে থাকেন।
কিন্তু লক্ষ্য করা গেছে, উপজেলা প্রশাসনের ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় আয়োজনে উপজেলার গুটি কয়েক গনমাধ্যমকর্মী ছাড়া। বাকি অন্যান্যদের এ আয়োজনের আমন্ত্রিত করা হয়নি। ফলে এঘটনায় উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা প্রশাসনের নিরপেক্ষতা ও বৈষম্যে করা হয়েছে বলে সাংবাদিকরা জনান।সিনিয়র প্রবীণ সাংবাদিক আব্দুস সালাম মোল্লা জানান, যে সাংবাদিক উপস্থিত হয়েছিল তিনি তো প্রশাসনের কোন অনিমের বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশন করে না। মিউচুয়াল নিয়েই থাকেন। তিনি আরো জানান, নিয়মিত একটিভ সাংবাদিক গন উপস্থিত হলো আমার কোন আপত্তি ছিল না। অন্যদিকে তিনি আরো জানান,তিনটি আশ্রম প্রকল্পে অসহায়ও দুস্থদের কোন খোঁজখবর নেই প্রশাসনের।বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখার জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি বলে জানান।
