পরী তুমি এখন কোথায় আছো?
আমি আজও হৃদয় মেলে বসে আছি
বুঝতে কি পারো...
তুমি কি আরো অপরূপা?
নাকি আসমানের ঐ নীল শাড়িতে-
তারার টীপ পড়ে মেলছো ডানা!
তোমায় আমি দেখতে চাই
দেখতে চাই হৃদয়ের বারান্দায়, নিজস্ব উঠোনে
অথচ তুমি দুরের আকাশ! ঝড়ো হাওয়ার তান্ডব
ক্ষতবিক্ষত করছো অবিরাম।
তোমায় আমি ছুঁয়ে চাই
অভিনব অভিসারে ভাসাতে চাই এই বঞ্চিত দ্বার।
শুনেছি তোমার স্পর্শে বিরাণ ভূমিতে শস্য ফলে
ফুটে বাহারি ফুল।
কেবল আমি তোমার দয়াহীন প্রতিক্ষায়!
জীবনের অসম মুহূর্তে বয়ে আসে বেদনার ঢেউ।
আচ্ছা, তুমি কি মাষ্টার চাচার মেয়ে,
তুমি কি আমার খেলার সাথি পরী?
নাকি তার অবয়ব নিয়ে বসে আছো
আমার জীবনের মরা আঙিনায়!
আঁধারের পথ পাড়িয়ে পায়ে পায়ে গিয়েছি হেঁটে
অসীমের ছাদফুড়ে, মর্তের কাননে ছেঁকে
কোথায়ও পাইনি তোমাকে!
তোমাকে দেবী ভেবে হেঁটেছি বহুপথ
আঁধারের নিরঞ্জন কাননেও পাইনি তোমার প্রতিমা
তোমায় না পাওয়ার উম্মাদনায় হৃদয়ে এসেছে ভরা প্লাবন।
তোমার ডাগর কালো নয়নে ছিলো অনুরাগের ছোঁয়া
সূর্যরাঙা গোলাপি ঠোঁটে প্রতিশ্রুতিশীল হাসি।
এই তো সেদিন, বিদায় বেলায় তোমার কপালে
জমে ছিলো বিন্দু বিন্দু ঘাম।
তুমি বলেছিলে-
যদি কখনো আমায় স্মরণ করো
আমি আড়াল থেকে মিশে যাবো তোমাতে। আর;
তোমার গায়ে থাকবে আমারই গায়ের মৌ মৌ গন্ধ।
পরী,সব বাঁধন ছিন্ন করে কেমন আছো তুমি!
আজ কোথায়ও তোমার গায়ের গন্ধ নেই
অন্তরে পোড়া গন্ধ, সর্বনাশী অগ্নিকুণ্ড!
কিছু কথা, কিছু স্মৃতি থেমে আছে সময়ের আঁধারে।