প্রকাশিত : রবিবার , ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , দুপুর ০২:১৫।। প্রিন্ট এর তারিখঃ রবিবার , ১২ মে ২০২৪ , দুপুর ০১:০৪

কুড়িগ্রামে পল্লী বিদ্যুতের ভুল নোটিশ, হয়রানির শিকার গ্রাহক


আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধীনে এক মিটার নাম্বার ভুল করে লিগ্যাল নোটিশ প্রাপ্তির পর ভোগান্তির শিকার হয়েছেন এক গ্রাহক। সংশ্লিষ্ট বিভাগসহ ইউএনও, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের নিকটে লিগ্যাল নোটিশের প্রতিকার চেয়ে তদন্তের জন্য লিখিত আবেদন করেছেন। তবে দীর্ঘসময় পার হলেও এখনো কোনো প্রতিকার মেলেনি ওই গ্রাহকের। এদিকে পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের দায়িত্বরত কর্মকর্তা বলছেন, গ্রাহকের আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রুকুনুজ্জামান শাহীন জানান, পল্লী বিদ্যুতের গাফলতির কারণে এমন টি হয়েছে। তারা যে হিসাব নম্বরে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন সেটি মিলছেনা। বিষয়টি নিয়ে আমি কথা বলেছি বিদ্যুৎ অফিসে দ্রুত সমাধান করার জন্য।

ভুক্তভুগী ওই গ্রাহকের নাম মো. মাহফুজার রহমান চঞ্চল। তিনি উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের মধ্য মাচাবান্দা এলাকার বাসিদা। তার মিটার হিসাব নম্বর-৬০১/২৭৩২।

গত বছরের ২০ ডিসেম্বরে মো. মাহফুজার রহমানকে কুড়িগ্রাম লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পক্ষ থেকে লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়েছে। সেখানে হিসাব নম্বর উল্লেখ্য করা হয়েছে ৬০১/৯০০০। এই হিসাব নম্বরে ২০১৭ সালের ৩০ জুন বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন দেখানো হয়েছে। এত বকেয়া বিল ও অন্যান্য পাওনা বাবদ ছিল ১৩ হাজার ২৮৫ টাকা।

নোটিশে আরো উল্লেখ্য করা হয়েছে পিডিআর এ্যাক্টের বিধান ছাড়াও অর্থ ঋণ আদালতে আপনাকে কিংবা আপনার ওয়ারীশদেরকে সিভিল জেলে আবদ্ধ রাখিবার নিশ্চিত রহিয়াছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছাইছে যে, বর্তমান আপনাকে জেলে আবদ্ধ করিবার সুর্নির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে সমিতির কর্মকর্তা বাধ্য হইবেন। সে কারণে আপনাকে অত্র নোটিশ দ্বারা শেষবারের মতো জানাইয়া দিতেছে যে, আপনি অত্র নোটিশ প্রাপ্তির ৩১.১২.২৩ তারিখের মধ্যে সমিতির পাওনা বিলের টাকা এককালীন সমিতির অফিসে পরিশোধ করিবেন। অন্যথায় চরম অপ্রাতিকর ব্যবস্থার জন্য আপনি দায়ী ও বাধ্য থাকিবেন।

এদিকে ভুক্তভুগী ওই গ্রাহকের দাবি, লিগ্যাল নোটিশে যে হিসাব নম্বর দেখানো হয়েছে, সেটি তার হিসাব নম্বরের থেকে একদম আলাদা। মাহফুজার রহমান বলেন, অদ্যবধি তার মিটারের বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করা হয়নি। তার মিটার নম্বর-৬০১/২৭৩২। অথচ বিদ্যুৎ অফিস থেকে যে হিসাব নম্বর দেখানো হয়েছে সেটা অত্র মাচাবান্দায় নাই। আমি এর প্রতিকার চেয়ে বিভিন্ন খানে আবেদন করেছে। কিন্তু এখনো এর কোনো সুষ্ঠু সমাধান পাইনি। আমি অফিসে গিয়েছিলাম তারা আমার কাজগপত্র জমা নিয়েছেন। তারা বলছেন তদন্ত চলছে।

এবিষয়ে কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চিলমারী ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মোস্তফা কামাল জানান, অনেক আগের একটি বিল বকেয়া রয়েছে। ওনা কে (মাহফুজার রহমান) বলার সময় ওনি বলেছেন এটা ওনার হিসাব নম্বর না। পরে এখন বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এখনো চলমান রয়েছে।