প্রকাশিত : মঙ্গলবার , ৩ অক্টোবর ২০২৩ , বিকাল ০৩:২৫।। প্রিন্ট এর তারিখঃ মঙ্গলবার , ১৪ মে ২০২৪ , সকাল ০৯:৩৪

র‍্যাগিং এবং ভাঙচুরের ঘটনায় ইবিতে ৬ শিক্ষার্থী বহিষ্কার


ইদুল হাসান, ইবি প্রতিনিধি:

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে ভাঙচুরের ঘটনায় ১ জনকে বহিষ্কার করা হয়।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান।

র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী হিশাম নাজির শুভ ও মিজানুর রহমান ইমনকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া শাহরিয়ার পুলক, শেখ সালাউদ্দীন সাকিব ও সাদমান সাকিব আকিব ১ বছরের জন্য বহিষ্কৃত হন। এ দিকে মধ্যরাতে চিকিৎসাকেন্দ্রে ভাঙচুরের ঘটনায় আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্যকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। এ ঘটনায় একই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আতিক আরমান এবং সালমান আজিজের সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, র‍্যাগিং ও ভাংচুরের ঘটনায় জড়িত থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক ৩ জনকে স্থায়ী ও ৩ জনকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তদন্তে অভিযুক্ত দুজনের ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তবে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১০ জুলাই মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের জরুরি বিভাগে ভাঙচুরের করেন রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্য ও তার দুই সহযোগী আতিক আরমান এবং সালমান আজিজ। এ ঘটনায় ১৫ জুলাই তাদেরকে অস্থায়ী বহিষ্কার করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া কাব্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় চিকিৎসাকেন্দ্রে কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ও অ্যাম্বুলেন্স চালকের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ উঠে।

এ দিকে গত ৯ সেপ্টেম্বর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের এক নবীন শিক্ষার্থী লিখিতভাবে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ করেন একই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। পর দিন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করে কর্তৃপক্ষ।