বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার বাঙালি নদী থেকে সরকারি ভাবে উত্তোলন করা বালু নিয়ে যেতে বাঁধা সৃষ্টি করছেন একটি মহল। এবিষয়ে ঠিকাদার এস এম নুহের মাহমুদ তমাল কয়েকজনকে বিবাদী করে সোনাতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। উপজেলার চরপাড়া গ্রামের বাঙালি ব্রিজ পয়েন্টে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, সরকারি নিলামকৃত বালু অপসারণকে কেন্দ্র করে ঠিকাদার নুহের মাহমুদ তমাল এর সাথে উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের হলিদাবগা গ্রামের মৃত তফিজ উদ্দিনের ছেলে শাহিদুল ইসলাম মুঞ্জু মাষ্টার, আব্দুল কাদেরের ছেলে ওমর ফারুক, বাবর আলী সরকারের ছেলে মিনহাজ উদ্দিন, উল্লেখিত সকলের সাথে মনোমালিন্য চলছে। এরই মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠিকাদার নুহের মাহমুদ তমাল কে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি নিলামকৃত বালু অপসারণের কার্যাদেশ দেন এবং আগামী ৩০ জুনের মধ্যে বালু অপসারণ সম্পাপ্ত করতে হবে মর্মে আদেশ দেন। তারপর ঠিকাদার বালু অপসারণের জন্য গাড়ী যাতাযাতের জন্য জমির মালিকের নিকট থেকে রাস্তা ভাড়া নেন। কিন্তু উক্ত বিবাদীরা টেন্ডারকৃত বালু অপসারণ করতে বাঁধা প্রদান করেন।
ঠিকাদার নুহের মাহমুদ তমাল বলেন, উক্ত বিবাদীরা ইতি পূর্বে আমার একটি বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহিত ভেকু গাড়ী ভাংচুর করে এবং আমাকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিচ্ছেন । এরিই ধারাবাহিকতায় গত ২ মে অনুমানিক রাত সাড়ে ৮ টার সময় উক্ত বিবাদীরা দলবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র সহ আমার বালুর পয়েন্ট বাঙ্গালীর ব্রিজের নিচে এসে আমার বালুর কাজ বন্ধ করে দেয়। আমি বাঁধা দিতে গেলে বিবাদীরা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আরো বলে, আমি যদি টেন্ডারকৃত বালু বিক্রি করি তাহলে তারা আমাকে জানে মেরে ফেলবে। আমি যেন নিলাম কৃত বালু অপসারণ করতে পারি এজন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
এবিষয়ে জানতে বিবাদী শাহিদুল ইসলাম মুঞ্জু কে একাধিকবার ফোন করলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
এবিষয়ে সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরুন্নবী জানান, সরকারি নিলাম কৃত বালু অপসারণে বাঁধা দেয়া অপরাধ। অভিযোগ হাতে পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।