মামুন,বগুড়াঃ
সোনাতলায় একটি মামলার দায় এড়াতে আসামির বাবার মৃত্যু নিয়ে চলছে লুকোচুরি।
সোনাতলায় গত ২৬ মে (রবিবার) আখ ক্ষেতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যুর ঘটনায় ছেলে মোঃ জহুরুল ইসলাম বাদী হয়ে তার চাচা মোঃ সবুজ মিয়া কে বিবাদী করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
কিন্তু পরের দিন ২৭ মে আনুমানিক সকাল ১০ টার দিকে বিবাদীর বাবা মোঃ মোন্তেজার রহমান মোন্তা (৮৫) মৃত্য হয়েছে ।
এলাকাবাসী বলছে মোন্তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু আগের মৃত্যুর দায় এড়াতে আসামি মোঃ সবুজ মিয়া তার বাবার মৃত্যু'র দায় চাপিয়ে দিচ্ছে মামলার বাদীর পরিবারের ওপর। বাঁচার তাগিদে বাদীর পরিবারের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নিহতের স্ত্রী।
এবিষয়ে মামলার বাদী জহুরুল ইসলাম বলেন, আমার বাবার মৃত্যু হয়েছে,এ বিষয়ে আমি আমার চাচা সবুজ কে আসামী করে থানায় মামলা করেছি,কিন্তু আসামীর বাবা 'মোন্তা' আমার বাবার মৃত্যুর পরের দিন মৃত্যু হয়। আসামী সবুজ আমার দায়ের করা মামলায় জামিনে এসে তার বাবার স্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে আমার এবং আমার পরিবারের ওপর দায় চাপাচ্ছেন।যাতে করে আমরা আপোষ মীমাংসা হই।
এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আসামী সবুজের বাবা মোন্তা দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ ছিলেন এবং হঠাৎ করেই ২৭ মে সোমবার স্টোক করে তার মৃত্যু হয়েছে। স্বাভাবিক মৃত্যুই আলোচিত হয়ে ওঠে মুহুর্তে। কথা হলো আগের মৃত্যু র দায় এড়াতে পাড়বে কি? চলছে মৃত্যু লুকোচুরি।
এবিষয়ে মৃত ব্যাক্তির ভায়রা আব্দুস সাত্তার বলেন, আমার ভায়রা দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ ছিলেন। হঠাৎ করেই সেদিন সোমবার আমার সামনে তার মৃত্যু হয়।
আরো বলেন, এ মৃত্যু স্বাভাবিক মৃত্যু। আর মৃত মোন্তার ছেলে এবং পরিবার এ মৃত্যুর দায় চাপিয়ে দিচ্ছে অন্যদের ওপর।
এবিষয়ে নিহতের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী 'মোন্তা' অসুস্থ ছিলো, কিন্তু গত ২৬ মে ফজর উদ্দিনের মৃত্যুর পর তার পরিবারের লোকজন এসে কিল,গুষি, লাথি মারে এবং ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করে, এতে করে কেটে ও ফেটে যায় এবং রক্ত ক্ষরন হয়। সে আরো বেশি অসুস্থ হয়ে মাটিতে পড়ে যায়, ডাক চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা এসে মাথায় পানি দেয় এবং কিছুক্ষণ পরে মারা যায়।
এ বিষয়ে সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবু কুমার সাহা বলেন, বারোঘড়িয়া থেকে,দুটি মামলা হয়েছে । প্রথম মামলার আসামী সবুজ মিয়া অস্থায়ী আছেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত চলছে। দুই মৃতদেহের সুরতহাল (মেডিকেল রির্পোট) না আসা পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না যে কোনটা হত্যা আর কোনটা মৃত্যু।