বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (ডিকেআইবি) নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (ডিকেআইবি) বরাবর চলতি বছরের ২২ শে অক্টোবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভূক্তভোগীরা।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, গাবতলী উপজেলা ডিকেআইবি নির্বাচন ২০২৪ এর ব্যাপক অনিয়মের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হয়। নির্ধারিত তারিখের পূর্বেই কমিটি গঠন করে। পরবর্তীতে স্থানীয় এবং জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশের মাধ্যমে ভূক্তভোগীরা অবগত হয়। যা সম্পূর্ন নির্বাচনী আইন বিধি পরিপন্থি। এছাড়া যে সমস্ত প্রার্থী বিভিন্ন পদে নমিনেশন জমাদান করলেও (খড়সা অনুযায়ী) তা তারা না মেনে নিজেদের ইচ্ছা মত পদ নির্ধারন করে কমিটি গঠন করে। এখানে মোস্তাফিজার রহমান সভাপতি পদে জমাদিলে তাকে সহ-সভাপতি পদ দেওয়া হয়। মোঃ আরিফুর রহমান সাধারণ সম্পাদক পদে নমিনেশন জমা দিলেও তাকে দপ্তর সম্পাদক পদ দেওয়া হয়। মো: শাহরিয়ার হাসান সহ-সভাপতি পদে নমিনেশন জমা দিলেও তাকে দেওয়া হয় সাংগঠনিক সম্পাদক।
এছাড়াও কার্য নির্বাহী পদে কামরুজ্জামান নমিনেশন তুললেও তিনি সভাপতি পদে আসীন হন। যা সম্পূর্ণ নির্বাচন বিধি পরিপন্থি। প্রিজাইডিং উপজেলা অফিসার ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং কমিটির সভাপতি কামরুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক মন্তেজার রহমান পকেট কমিটি তৈরি করেছেন।
এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়ে নির্বাচন বহির্ভূত কর্মকান্ড পরিচালনার দায়ে শাস্তির দাবি করেন ডিপ্লোমা কৃষিবিদরা।
ভূক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২৩ শে অক্টোবর প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা খায়রুল হাসান প্রধান স্বাক্ষরিত একটি পত্রে বগুড়ার গাবতলী ডিকেআইবি নির্বাচনের ফলাফল স্থগিতের একটি চিঠি প্রেরন করেন। পুনরায় ৩১ শে অক্টোবর অসমাপ্ত কার্যক্রম সমাপ্ত করার ঘোষণা দিয়ে আবারো একটি চিঠি জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবরে প্রেরন করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষি কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, আমরা কাঙ্খিত পদে নমিনেশন তুলেছিলাম কিন্তু আমাদের কাঙ্খিত পদে নমিনেশন না দিয়ে মনগড়া পদ দেওয়া হয়েছে।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হাসান জানান, আমি যে পদে নমিনেশন তুলেছিলাম সে পদে আমাকে নমিনেশন দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে একাধিকবার ফোন করলেও সাংবাদিক পরিচয় জেনেই ব্যাস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটে দেয় তিনি।