প্রকাশিত : বুধবার , ১৫ নভেম্বর ২০২৩ , দুপুর ০১:১২।। প্রিন্ট এর তারিখঃ রবিবার , ১৯ মে ২০২৪ , বিকাল ০৪:৪৮

শেরপুরে তথ্যপূর্ণ ভিডিও বানিয়ে সাড়া ফেলেছে Thought of Billal


রকিবুল হাসান রাকিব, শেরপুর প্রতিনিধি:

বর্তমান মানুষের যোগাযোগের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া। আর সেই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে ব্যাতীক্রমী এক উদ্যোগে শেরপুর জেলার জানা অজানা সকল বিষয় গুলো নিয়ে তথ্যবহুল ভিডিও বানিয়ে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন প্রতিভাবান ‘Thought of Billal’ তার ভিডিও গুলো ছড়িয়ে যাচ্ছে শেরপুরের বিভিন্ন জনপ্রিয় ফেসবুক গ্রুপে। যুগোপযোগী শিক্ষা বেকারত্ব থেকে বেরিয়ে আসার সঠিক পদক্ষেপ, তৃণমূলের তরুণদের ক্যারিয়ার গঠনে সঠিক গাইডলাইন। দেশ ও জনসেবা মূলক কাজ করাই তাহার প্রতিপাদ্য বিষয়।

জেনে আসা যাক সেই প্রতিভাবান বিল্লাল হোসেন এর উঠে আসার ইতিহাসঃ-

আমি বিল্লাল হোসেন, জন্ম ১৯৯৭ সালের ১৪ অক্টোবর। শেরপুর জেলার নকলা উপজেলায় ‘মাটি অফিস’ সংলগ্ন ‘হুজুরীকান্দা’ গ্রামে বেড়ে উঠা। শৈশব ও কৈশোর জীবনের পুরো সময়টাই গ্রামের আলো বাতাসে কেটেছে। এইচএসসি পাশ করেছি চন্দ্রকোনা কলেজ থেকে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে গণিত বিষয়ে স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিলাম ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে। আর্থিক অস্বচ্ছলতা ও বৃদ্ধ বাবার জন্য সন্তান হিসেবে দায়িত্ববোধের জটিল সমীকরণে, স্নাতক পাশ করে গণিত শিক্ষক হওয়ার যে অংকটা কষেছিলাম, সে অংকটা আর মেলে নাই।

বয়স তখন ২১, একটা চাকরির জন্য পরিচিত মানুষদের কাছে বারংবার অনুরোধ। ২টা সার্টিফিকেট ছাড়া অভিজ্ঞতার ঝুড়িতে কিছু ছিলো না। নিজেকে নিয়ে ভাবতে শুরু করলাম, প্রচুর সময় দিলাম। দিনশেষে যা বুঝলাম, “সার্টিফিকেট অর্জনের পাশাপাশি দক্ষতা অর্জন করতে না পারলে বেকারত্বের কারাগার থেকে জামিন পাওয়া দুষ্কর”। একজন ভদ্রলোকের সাথে পরিচয় হলো।

উনি তখন রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২৭০ কোটি টাকার একটা প্রজেক্টের দায়িত্বে ছিলেন। আমি জানি, হয়তো তার কাছে খুব ভালো মানের চাকরি আছে কিন্তু এটাও জানি আমি কোনোটার জন্যেই তৈরি না। তাই আমি চাকরি চাইনি, আমি বলেছিলাম, আমি কর্মজীবনে যেতে চাই, আপনি আমাকে যতটুকু চিনেন সেটার উপর ভিত্তি করে বলেন, আমাকে দিয়ে কি হবে!.? সে বলেছিলো, তোমার‍ যতটুকু যোগ্যতা আছে, হোটেল ইন্ডাস্ট্রিতে চেষ্টা করে দেখতে পারো, হয়তো ভালো করতে পারবে। তার একটা পরামর্শ আমার লাইফের টার্নিং পয়েন্ট ছিল।

হোটেল ম্যানেজমেন্টের বেসিক কোর্স করলাম “ইউসেফ বাংলাদেশ” থেকে। তারপর “আই.এইচ.এম.এইচ থেকে হোটেল ম্যানেজম্যান্টে আর.পি.এল লেভেল-১ কম্পিট করি। ইন্টার্ন শেষ করলাম দেশের সর্ববৃহৎ ৫ তারকা হোটেল রয়েল টিউলিপ সী পার্ল থেকে (২০২২ সালে এই হোটেলটি বিশ্বের সেরা সী সাইড হোটেল হিসেবে এওয়ার্ড পেয়েছে) । ট্রেনিং এ ছিলাম ২২ জন। মাত্র ২জন চাকরিতে যোগদানের সুযোগ পেয়েছিলাম, তার মধ্যে আমি একজন।

আসলে, পারফরমেন্স মোটামুটি ছিল কিন্তু নিজের উপর যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস ছিল। একজনেরও যদি চাকরি হয়, সেটা আমার হবে। সাহস ও প্রবল ইচ্ছাশক্তি থাকলে এগিয়ে যাওয়ার পথে কোনো বাধায় কাউকে দমিয়ে রাখতে পারবে না।

নিজেকে একজন ক্লিন ইমেজের সমাজকর্মী হিসেবে গঠণ করতে চাই। সামাজিক বিশৃঙ্খলা মুক্ত, মূল্যবোধের অবক্ষয়রোধ, বেকারত্ব নিরসনের জন্য আমি আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।

প্রচুর মানুষের সহযোগিতা ও ভালোবাসা পেয়েছি। মানুষের জন্য কিছু করার প্রয়াস ছিলো, আছে, থাকবে। বিশেষ করে, তৃণমূল তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও ক্যারিয়ার নিয়ে সাপোর্ট দিচ্ছি।

দেশ, সমাজ ও মানুষ নিয়ে আমি আমার চিন্তাভাবনা পরিকল্পনাগুলো কন্টেন্ট আকারে আমার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে আপলোড করে থাকি। পেইজের নাম : Thoughts of Billal