বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়ায় রাস্তা দখল করে বালু পরিবহনের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নুহের মাহমুদ তমাল বিজ্ঞ সোনাতলা সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। যাহার নাম্বার ১৫/২৫ অন্য। অপরদিকে প্রতিপক্ষ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
বাদী জানান, সোনাতলা উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের চরপাড়া হুয়াকুয়া সড়কের বাঙালি ব্রিজের পূর্ব পাশে বেশ কিছুদিন আগে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড একটি বালুর নিলাম করে। মন্ডল কনস্ট্রাকশন নিলাম পেলেও সাব ঠিকাদার হিসেবে শেরপুর কানপুর এলাকার মারুফ, সারিয়াকান্দি ও সোনাতলা সোনাতলা এলাকার মামুন, শহীদ, বাবুসহ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীরা নদীর উত্তোলিত বালু অপসারণ করতে থাকে। কিন্তু সেখানে বেশ কিছু ফসলী জমিতে থাকা বালু পরিবহনের ট্রাক যাতায়াতে ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে। জাহিদুল ইসলাম, সানা, নূহের মাহমুদ তমাল, খাজা, সিদ্দিক হোসেন ডাবলু, সহ ৮ থেকে ১০ জনের জমির ফসল নষ্ট করে জোরপূর্বক বালু আনা নেওয়া করছে।
ফসল নষ্টের বিষয়ে জমির মালিক নূহের মাহমুদ তমাল বলেন, সরকার বালু নিলাম করেছে ব্যবসায়ীরা কারো ক্ষতি না করে বালু পরিবহন করবে কিন্তু আমরা জমির মালিকরা বারবার নিষেধ করার পরেও আমাদের ফসলি জমি নষ্ট করে বালু পরিবহন করছে। তাই আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করছি।
জমির মালিক সানার স্ত্রী জানান, দলীয় প্রভাব খাটিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা করে বালু পরিবহন করতেছি তাই আমরা বাঁধা দিয়েছি।
বালু পরিবহনের বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সাব ঠিকাদার মারুফ জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড বালু নিলাম করলে মন্ডল কনষ্ট্রাকশন যথাযথ প্রকৃয়ার মাধ্যমে ৩ লাখ ঘনফুট বালুর নিলাম পায়। আমরা তার কাছে সাব ঠিকাদার হিসেবে বালু কিনে নিই। কিন্তু সাব ঠিকাদারের পক্ষে মারুফ বালু কিনার কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, উভয়পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে অফিসার ইনচার্জকে লিখিত ভাবে জানিয়েছি, তার পরেও বন্ধ না করলে আমি নিজেই ঘটনাস্থলে গিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।