নবদিগন্ত ডেস্ক রিপোর্টঃ
বগুড়ায় বাঘোপাড়া শহীদ দানেশ উদ্দীন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠানের কতিপয় অসাধু শিক্ষক ও কর্মচারী কর্তৃক ছাত্রছাত্রীদের ভয়ভীতি হুমকি প্রদান বিষয়ে সুষ্ঠ তদন্ত ও আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে গত ৪ সেপ্টেম্বর বগুড়া জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা।
অভিযোগে উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা জানান,আমরা বাঘোপাড়া শহীদ দানেশ উদ্দীন স্কুল এন্ড কলেজে গোকুল বগুড়ার ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতিবাজ সাবেক বহিষ্কৃত অধ্যক্ষ মোঃ সুফিয়ান ও সাবেক সভাপতি আমিনুল ইসলাম ডাবলু এর নানাবিধ অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদে তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের দাবিতে নিয়ম তান্ত্রিক ভাবে আন্দোলন ও সংগ্রাম করে আসছি। আমরা কোন প্রকার ভাঙচুর ও অন্যায় কর্মে লিপ্ত হই নাই। আমাদের দাবির প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় গত ২৯ আগস্ট আমাদের প্রতিষ্ঠানে আগমন করেন এবং কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য শিক্ষক ও বৈষম্ বিরোধ ছাত্র অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের সমন্বিত সভার আয়োজন করেন। উক্ত সভার শুরুতে অত্র কলেজের অফিস সহকারি নাজমা আক্তার( মহিলা বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক বগুড়া জেলা ) ও তার দুই সহযোগী আব্দুল হান্নান( জিয়া পরিষদের সদস্য), ও সাইফুল ইসলাম (প্রভাষক পদার্থবিজ্ঞান) বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও ঔদ্ধ্যতপূর্ণ আচরণ করে অনুসারী কিছু সংখ্যক শিক্ষক কর্মচারী সহ সভার স্থল ত্যাগ করেন। শিক্ষকমন্ডলীকে বিশ্রাম কক্ষে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক একটি সাদা কাগজের স্বাক্ষর নেন এবং স্বাক্ষরিত সাদা কাগজের সঙ্গে বিভিন্ন মিথ্যা দাবি ও অভিযোগ বিভিন্ন দপ্তরে উপস্থাপন করেন বলে আমরা জানতে পেরেছি।
উল্লেখ্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘোষনার মধ্য দিয়ে সাবেক অধ্যক্ষ আবু মোহাম্মদ সুফিয়ান কে দীর্ঘদিন অনুপস্থিতি ও দুর্নীতির প্রাথমিক অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করেন এবং অত্র বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নজরুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করেন।
ঘোষনার পর থেকে নাজমা বেগম শিক্ষক কর্মচারী ও কিছু কোমলমতি শিক্ষার্থীকে নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আসছে এবং রাজনৈতিক দলের প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে ছাত্রীদের স্বাক্ষর ও বাড়িতে গিয়ে ভয় ভীতি প্রদান করে আসছে। এমতাবস্থায় অত্র প্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীরা লেখাপড়ায় মনোযোগী হতে এবং প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার পরিবেশ বিকৃত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে দানেশ উদ্দীন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অফিস সহকারী ও বগুড়া জেলা মহিলা দলের সাধারন সম্পাদক নাজমা আক্তার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে যেগুলো অভিযোগ করা হয়েছে বা হচ্ছে সেগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এগুলো করা হচ্ছে।
এবিষয়ে বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ হযরত আলীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি এ বিষয়ে একটা অভিযোগ পত্র হাতে পেয়েছি এবং তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানান।